বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমানসহ ১৭ জনের নামে প্রায় আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুইটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের (খুলনা) সম্মিলিত জেলা কার্যালয়ে এই মামলাগুলো হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার বিকালে জানিয়েছেন সংস্থাটির উপপরিচালক নাজমুল হাসান।
তিনি জানান, একটি মামলা হয়েছে অবৈধ ভাবে লোক নিয়োগের অভিযোগে এবং আরেকটি মামলা হয়েছে আবাহনী ক্রীড়া কমপ্লেক্স ও ডায়াবেটিস হাসপাতাল নির্মাণ না করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে। খুলনা দুদকের সহকারী পরিচালক তরুন কান্তি ঘোষ এই দুটি মামলা করেন।
প্রথম মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নিয়োগবিধি না মেনে ১৭ জনকে নিয়োগ দেয়া হয় পৌরসভায়। ২০১৭ সালের ৩ মার্চ থেকে ২০২০ সালের ২৫ জুলাই পযর্ন্ত ওই ১৭ জনের বেতন-ভাতা উত্তোলন বাবদ এক কোটি ২৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৫৩ টাকা আত্মসাৎ করা হয়।
এই মামলায় ১ নম্বর আসামি বাগেরহাট পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান। অন্য আসামিরা হলেন দিপু দাস, মো. আসাদুজ্জামান, জ্যোতি দেবনাথ, মারুফ বিল্লাহ, শহিদুল ইসলাম, শরমিন আক্তার বনানী, হাসান মাঝি, হাসনা আক্তার, মো. জিলানী, তানিয়া বেগম, অর্পূব কুমার রায়, মেহেদী হাসান, সৌদি করিম, পারভিন আক্তার ও সেতু পাল। তারা সবাই পৌরসভার সাবেক কর্মী।
দ্বিতীয় মামলার এজাহারে আছে, ডায়াবেটিস হাসপাতাল ও আবাহনী ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ বাবদ দুই কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। পৌর মেয়র সেই কাজ না করেই এক কোটি টাকা উঠিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। এই মামলার আসামি পৌর মেয়র খান হবিবুর রহমান এবং পৌরসভার সাবেক সচিব ও মাগুরা পৌরসভার বর্তমান সচিব রেজাউল করিমে।