বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বেড়ায় ভোট: এমপি টুকুর পরিবারের সংঘাত

  •    
  • ২৫ নভেম্বর, ২০২১ ১৯:৫৫

বেড়া সিএন্ডবি বাজার এলাকার বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনায় বাতেনসহ অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। হামলার জন্য টুকুপুত্র ও নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আসিফ শামস রঞ্জনের সমর্থকদের দায়ী করেছেন বাতেন। তবে এই অভিযোগের বিষয়ে নৌকা প্রার্থীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

পাবনার বেড়া পৌরসভা নির্বাচনের প্রচারের শেষ মুহূর্তে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) শামসুল হক টুকু পরিবারের বিরোধ সংঘাতে রূপ নিয়েছে। পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এমপির ভাই পৌর মেয়র আব্দুল বাতেনের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।

বেড়া সিএন্ডবি বাজার এলাকার বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনায় বাতেনসহ অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। হামলার জন্য টুকুপুত্র ও নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আসিফ শামস রঞ্জনের সমর্থকদের দায়ী করেছেন বাতেন। তবে এই অভিযোগের বিষয়ে নৌকা প্রার্থীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

হামলার ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজও মেয়র সংবাদকর্মীদের সরবরাহ করেছেন।

নারিকেল গাছ প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল বাতেন অভিযোগ করে বলেন, ‘জনসমর্থন না পেয়ে ছেলেকে বিজয়ী করতে এমপি টুকু বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে নির্বাচনি এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছেন। নির্বাচন থেকে আমাকে সরিয়ে দিতে প্রচারে বাধা দেয়ার পাশাপাশি একাধিক বার আমাকে হত্যাচেষ্টা হয়েছে। এমনকি আমার বাড়ির সামনে রঞ্জনের উপস্থিতিতে সন্ত্রাসীরা মহড়া দিয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছে। এ সব ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রমাণ নজরে নেয়া হলে হাইকোর্টের নির্দেশে আমাকে নিরাপত্তা দেয়া হয়।’

তিনি বলেন, ‘‘এমপি টুকুর সন্ত্রাসীরা এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, তারা এখন পুলিশের উপস্থিতিতেই আমাকে জবাই করতে চাইছেন। বৃহস্পতিবার এমপির নির্দেশে ‘সন্ত্রাসী’ ময়ছার, রমজান, হাকিম বস, আল আমিন, ইমরান, হান্নান, বরকত ও রাসুর নেতৃত্বে আমার প্রচারে হামলা হয়েছে। ’’

আব্দুল বাতেন আরও বলেন, ‘এমপি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে দিচ্ছেন না। তার নির্দেশেই বহিরাগত সন্ত্রাসীরা এলাকায় অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। সুষ্ঠু নির্বাচন ও ভোটারদের নিরাপত্তার স্বার্থে নির্বাচনের সময়ে বেড়া পৌর এলাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানাচ্ছি।’

আব্দুল বাতেনের পাঠানো ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ৩০ থেকে ৩৫ জনের একটি দল গালিগালাজ করে তাকে (বাতেন) এলাকা ছাড়তে হুমকি দিচ্ছে। এ সময় তার নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ সদস্যরা তাদের ঠেকানোর চেষ্টা করে। তবে সেই বাধা উপেক্ষা করে তারা মারপিট করার চেষ্টা করছেন। প্রাণ বাঁচাতে বাতেন ও তার সমর্থকরা একটি মুদি দোকানে আশ্রয় নেন। সেখানেও তারা ‘একটা একটা বাতেন ধর, ধরে ধরে জবাই কর’ স্লোগান দিয়ে মারপিটের চেষ্টা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনায় বাজারের ব্যবসায়ী ও জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রাণভয়ে মালিকরা দোকান বন্ধ করে ছুটাছুটি শুরু করেন। এ সময় হামলায় বাতেনসহ প্রায় ১০ জন আহত হন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিরপত্তার দায়িত্বে থাকা এক পুলিশ সদস্য বলেন, ‘পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রচারে আমরা বাতেনকে নিরপত্তা দিয়ে দিচ্ছিলাম। দুপুর ১টার দিকে হঠাৎ করেই সিএন্ডবি মোড়ে বাতেনের ওপর হামলার চেষ্টা হয়। আমরা তাৎক্ষণিক তাকে একটি দোকানে নিয়ে হামলা থেকে রক্ষা করেছি।’

বেড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অরবিন্দ সরকার নিউজবাংলাকে জানান, নৌকা ও নারিকেল গাছ প্রতীকের সমর্থকরা সিএন্ডবি বাজারে মুখোমুখি হলে সামান্য একটু উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যববস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে কথা বলতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আসিফ শামস রঞ্জনকে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

নৌকার পক্ষে প্রচারে অংশ নিতে বেড়ায় এসেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘হামলার কোনো ঘটনা আমার জানা নেই। স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজেই হামলার নাটক সাজিয়ে ভোটারদের সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছেন।’

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, বেড়া পৌর মেয়র পদে লড়ছেন এমপি টুকু পরিবারেই তিন প্রার্থী। নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তার ছেলে আসিফ শামস রঞ্জন, নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে ছোট ভাই আব্দুল বাতেন এবং মোবাইল ফোন প্রতীক নিয়ে ভাতিজি সাদিয়া আলম। এ ছাড়া রেল ইঞ্জিন প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে লড়ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এ এইচ এম ফজলুর রহমান মাসুদ, জগ প্রতীক নিয়ে আছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কে এম আব্দুল্লাহ।

আগামী ২৮ নভেম্বর পৌরসভায় ভোট হবে।

এ বিভাগের আরো খবর