কুমিল্লায় কাউন্সিলর সোহেল ও তার সঙ্গীকে হত্যা মামলায় যাদের নাম এসেছে তাদের মধ্যে প্রধান আসামিসহ তিনজন ঘটনার ৬ দিন আগেও ওয়ার্ডে গোলাগুলি করেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
পুলিশ বলছে, গণ্ডগোলের খবরে তারা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। সন্দেহভাজন কয়েকজনের বাড়ি তল্লাশি করা হয়েছিল। তবে গুলি ছোড়ার আলমত পাননি।
কার্যালয়ে ঢুকে কুমিল্লার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও তার সঙ্গীকে গেল সোমবার গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় গুলবিদ্ধ হন আরও চারজন।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনওয়ারুল আজিম জানান, কাউন্সিলর সোহেল সুজানগরে তার কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মুখোশ পরা ১৫ থেকে ২০ জন তাকে গুলি করে। এতে কাউন্সিলর সোহেল লুটিয়ে পড়েন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন হরিপদ সাহা, পাথুরীয়াপাড়ার মো. রিজু ও মো. জুয়েল এবং সুজানগর এলাকার সোহেল চৌধুরী ও মাজেদুল।
চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারের জেরে এ ঘটনা বলে জানান স্থানীয়রা।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মঙ্গলবার মামলা করেন নিহত সোহেলের ভাই সৈয়দ মো. রুমন। মামলায় ১৬ জনের নামসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
কাউন্সিলর হত্যার ৬দিন আগে অর্থ্যাৎ ১৬ নভেম্বরের ঘটনায় এলাকাবাসীর বর্ণনায় যাদের নাম এসেছে তারা হলেন শাহ আলম, মো. সোহেল ও সাব্বির হোসেন। এর মধ্যে শাহ আলম হত্যা মামলার ১ নম্বর, মো. সোহেল ২ নম্বর এবং সাব্বির হোসেন ৩ নম্বর আসামি।
১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইসমাইল বলেন, ‘এক নারীর সঙ্গে সাব্বিরের বিয়েবর্হিভূত সম্পর্ক ছিল। ১৬ নভেম্বর রাতে তিনি সুজানগরে ওই নারীর সঙ্গে দেখা করতে যান। এ সময় এলাকাবাসী তাকে বাধা দেন। তখন সাব্বির তাদের দেখে নেয়ার হুমকি দেন। ফোনে শাহ আলম, সোহেলসহ অন্যদের ডেকে নেন।
‘শাহ আলমসহ অন্যরা আতঙ্ক ছড়াতে ৬ থেকে ৭ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ সময় তাদের প্রতিহত করতে ইটপাটকেল ছোড়েন। তখন ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।’
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনওয়ারুল আজিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে আমি বিস্তারিত কিছু জানি না। আমাদের চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কায়সার হামিদ সেখানে যান। তিনি বিস্তারিত বলতে পারবেন।’
ফাঁড়ির ইনচার্জ কায়সার হামিদের সঙ্গে কথা বলেছে নিউজবাংলা। তিনি বলেন, ‘এলাকাবাসী আমাদের বলেছে গোলাগুলি হয়েছে। তবে আমরা আলামত পাইনি। তবে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আমরা সন্দেহভাজন অনেকের বাড়ি তল্লাশি করি।
‘যাদের সঙ্গে এলাকাবাসীর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে আমরা খতিয়ে দেখছি তারা সোহেল হত্যায় সম্পৃক্ত কিনা।’