মেহেরপুরের গাংনীতে একটি বেসরকারি ক্লিনিকের কক্ষ থেকে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিকের ছেলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাদকাসক্ত হওয়ায় ছেলেকে পরিবারের সদস্যরাই ওই কক্ষে আটকে রেখেছিলেন বলে জানায় পুলিশ। সেখানে বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দেয়া অবস্থায় মরদেহটি পাওয়া যায়।
মৃত যুবকের নাম নাহিদ হাসান রাজা। তার বাড়ি গাংনীর বামন্দী গ্রামে। তার বাবা বিনারুল ইসলাম হৃদয় ক্লিনিক নামে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক।
স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক ইমরুল কায়েস খান বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় লোকজন ও নাহিদের পরিবারের বরাত দিয়ে ইমরুল জানান, নাহিদ বিনারুলের বড় ছেলে। চার বছর ধরে প্রবাসে ছিলেন তিনি। পাঁচ মাস আগে তিনি দেশে ফিরে আসেন। তখন থেকেই মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন।
পরিবারের লোকজন গত চার দিন ধরে নিজেদের ক্লিনিকের একটি ঘরে নাহিদকে আটকে রাখে। ক্লিনিকের দ্বিতীয় তলাতেই তাদের বাড়ি।
ইমরুল জানান, সকালে নাহিদকে নাশতার জন্য বের করা হয়। এরপর আবার ওই রুমে রাখা হয়। ঘণ্টাখানেক পর তার কক্ষের দরজা খুলতে চেষ্টা করলে ভেতর থেকে বন্ধ পাওয়া যায়। পরে দরজা ভেঙে তাকে বিছানার চাদর দিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগানো অবস্থায় পায় স্বজনরা।
তিনি মারা গেছেন বলে নিশ্চিত হলে স্বজনরা দাফনের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকেন। এলাকার লোকজনের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ হেফাজতে নেয়।
ইমরুল জানান, সবকিছু খতিয়ে দেখে ও মরদেহের সুরতহাল শেষে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে নাহিদ আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহ পরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।