চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ত্রুটি দেখিয়ে নির্বাচনি বোর্ড থেকে পদত্যাগ করেছেন এক শিক্ষক।
ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এস এম সালামত উল্লাহ ভূঁইয়া বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে বোর্ড থেকে পদত্যাগের পত্র জমা দেন।
পদত্যাগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ‘চলতি মাসের ২১ নভেম্বর স্মারক ৩৭৫/৭২৮০ অনুযায়ী চবির ঊর্ধ্বতন সহকারী/সমমানের পদ থেকে সেকশন অফিসার/সমমানের পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগের জন্য নির্বাচনি বোর্ডের সদস্য হিসেবে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়।
‘সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ত্রুটির কারণে আইনি জটিলতা ও সামাজিক ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছি। এ অবস্থায় ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কারণে আমি উক্ত নির্বাচনি বোর্ড থেকে পদত্যাগ করছি।’
পদত্যাগপত্র
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান বলেন, ‘আমরা পদত্যাগপত্র পেয়েছি। তিনি যদি নির্বাচনি বোর্ডে থাকতে না চান, তাহলে তো কিছু করার নেই। পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী বোর্ডের কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে।’
এ বিষয়ে অধ্যাপক এস এম সালামত উল্লাহ ভূঁইয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি চিঠিতে সব উল্লেখ করে দিয়েছি।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, একজন ডিন ও একজন সিন্ডিকেট মনোনিত সদস্য নিয়ে দুই সদস্যের সিলেকশন বোর্ড গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। সেকশন অফিসার পদোন্নতির এ নির্বাচনি বোর্ডে সিন্ডিকেট মনোনীত সদস্যের বাইরে উপাচার্যের নির্বাহী ক্ষমতাবলে প্রশাসন বিশেষজ্ঞ হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়াকে। এটিকে নিয়োগ সংক্রান্ত প্রক্রিয়াগত ত্রুটি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।