সপ্তম দফায় চট্টগ্রাম থেকে ভাসানচরের পথে রওনা হয়েছেন আরও ৩৭৯ জন রোহিঙ্গা।
চট্টগ্রাম বোট ক্লাব থেকে নৌবাহিনীর জাহাজ পেঙ্গুইন বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে তাদের নিয়ে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার সামছু-দৌজা নয়ন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ভাসানচরে নেয়ার উদ্দেশে বুধবার রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের উখিয়া থেকে চট্টগ্রামে আনা হয়। রাতে তারা চট্টগ্রামের বিএফ শাহিন কলেজ মাঠের অস্থায়ী তাঁবুতে অবস্থান করেন।
সেখানেই তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। দুপুরের পর রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ভাসানচরে গিয়ে পৌঁছাবেন বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে কড়া নিরাপত্তায় বিএফ শাহীন কলেজের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে পতেঙ্গা বোট ক্লাবে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের।
২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২, ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ১ হাজার ৮০৪, চলতি বছরের ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফার ৩ হাজার ২৪২, ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ দফায় ৩ হাজার ১৮, পঞ্চম দফায় ৩ ও ৪ মার্চ ৪ হাজার ২১ এবং ষষ্ঠ দফায় ১ ও ২ এপ্রিল ৪ হাজার ৩৭২ রোহিঙ্গাকে ভাসানচর স্থানান্তর করা হয়।
গত বছরের মে মাসে সাগরপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টার সময় ৩০৬ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেও সেখানে নিয়ে রাখা হয়।
এ ছাড়া গত ১ ও ২ এপ্রিল ষষ্ঠ দফায় (দুই অংশে) ৪ হাজার ৩৭২ রোহিঙ্গা ভাসানচরে যায়। এবার ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের লক্ষ্য নিয়েছে সরকার।