পিরোজপুরের রঘুনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন উপলক্ষে চলছে জমজমাট ভোটের প্রচার। স্লোগান, মিছিল, পথসভা ও উঠান বৈঠকে মুখর পুরো নির্বাচনি এলাকা।
২৮ নভেম্বরের নির্বাচনে জয়-পরাজয় নিয়ে প্রার্থী ও ভোটার সবার মধ্যেই বেশ উত্তেজনা।
কেউ কেউ বলছেন, প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় এলাকায় প্রয়োজন নতুন জনপ্রতিনিধি। তবে বর্তমান চেয়ারম্যানের বিশ্বাস, এবারও তার ওপর ভরসা রাখবে ভোটাররা।
কাউখালী উপজেলার রঘুনাথপুর ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ছয় প্রার্থী। তাদের মধ্যে আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম খোকন, জাতীয় পার্টির (মঞ্জু) প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান এলিজা সাঈদ এবং চার স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু সাঈদ, গিয়াস উদ্দিন পলাশ, মাসুম হোসেন ও আবুল কালাম আজাদ।
রঘুনাথপুরের হোগলা গ্রামের ৭০ বছরের বৃদ্ধ ইউনুস মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের রঘুনাথপুরে এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সবাই জেপির। তাই জনগণের প্রত্যাশিত উন্নয়ন হয়নি।
‘এখনও অনেক রাস্তাঘাট ভাঙা, বড় বড় খালে সেতু নাই। এভাবেই এই এলাকার মানুষ উন্নয়ন বঞ্চিত। আমরা চাই এলাকার উন্নয়ন করবে এমন সৎ, যোগ্য ও তরুণ প্রার্থী ক্ষমতায় আসুক।’
হামিদা বেগম নামের আরেক ভোটার বলেন, ‘এখনও ঠিক করিনি ২৮ তারিখ কাকে ভোট দেব, চিন্তা করছি। এলাকায় সবসময় পাবো এমন প্রার্থীকে ভোট দিতে চাই।’
নিজের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেপির সাইকেল মার্কার প্রার্থী এলিজা সাঈদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি যেভাবে জনগণের সেবা করেছি তাতে নিশ্চিত, মানুষ আমাকেই আবার বেছে নেবে। এলাকার উন্নয়নে বরাদ্দ কোনো টাকা এদিক-সেদিক হয়নি। উন্নয়নেই সব খরচ করেছি। এই এলাকার সবাই সেটা জানে।’
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রেজাউল করিমের আশা, এবারের ভোট তার পক্ষে যাবে।
তিনি বলেন, ‘ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ এখন আর জেপিকে চায় না। জনগণ আওয়ামী লীগকেই ভরসা করে। এবারের ভোটে বিপুল ভোটে প্রধানমন্ত্রীর নৌকা বিজয়ী হবে।’
তরুণ স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু সাঈদের দাবি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকে। গ্রাম পর্যায়ে সাধারণ মানুষের উন্নয়নে কাজ করার সময় তাদের নেই।
সাঈদ বলেন, ‘জনগণ এবার আমাকে বেছে নেবে। কারণ আমি এই ইউনিয়নের সন্তান। সবসময় সুখে-দুঃখে সবার পাশে ছিলাম।’
কাউখালী উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হবে। প্রার্থীরা যেন নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে প্রচার চালান সে জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে কাজ করছে। কোনো ধরনের বাধাবিঘ্ন ছাড়াই ভোটাররা ভোট দিতে পারবে।