ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে এসএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা। এখন আগামী ২৮ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে পরীক্ষার্থীদের ব্যাবহারিক পরীক্ষা। এরপর প্রতিষ্ঠান থেকে নিজ নিজ পরীক্ষার্থীর ব্যাবহারিক খাতা মূল্যায়ন করে সে নম্বর বোর্ড নির্ধারিত ছকে আগামী ২৮ নভেম্বরের মধ্যে কেন্দ্রকে দিতে হবে। এরপর কেন্দ্র থেকে পরীক্ষার্থীদের নম্বর ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে এন্টি দিতে হবে।
বুধবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম আমিরুল ইসলামের সই করা অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানকে নিজ নিজ পরীক্ষার্থীর ব্যাবহারিক খাতা (নোট বুক) মূল্যায়ন শেষে বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ছক (Blank Mark Sheet) কেন্দ্র থেকে সংগ্রহ করে প্রাপ্ত নম্বরের তালিকা প্রস্তুত করে আগামী ২৮ নভেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করতে হবে।
আর কেন্দ্রকে তার আওতাধীন প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া ব্যাবহারিক খাতার নম্বর ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে পাঠাতে হবে। সেই সঙ্গে ব্যাবহারিকের নম্বর প্রতিষ্ঠান থেকে পাঠানো হার্ড কপির ১ কপি ও কম্পিউটার প্রিন্টের ১ কপি বোর্ডের মাধ্যমিক পরীক্ষা শাখায় ২ ডিসেম্বরের মধ্যে হাতে হাতে জমা দিতে হবে।
আরও বলা হয়, এসএসসি পরীক্ষার ধারাবাহিক মূল্যায়নের নম্বর পাঠানোর প্রয়োজন নেই। বিষয়ভিত্তিক ব্যাবহারিক খাতার (নোট বুক) মোট নম্বর পঁচিশ ধরে মূল্যায়ন করতে হবে।
সাধারণত প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হলেও এ বছর করোনা মহামারির কারণে এই পাবলিক পরীক্ষা শুরু হয় ১৪ নভেম্বর। শেষ হয় ২৩ নভেম্বর।
এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন। গতবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৪ জন বেড়েছে। গতবার পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন।
মোট ২৯ হাজার ৩৫টি স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ পরীক্ষার্থীর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। দেড় বছর পর ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।