বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার টি-টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচ চলাকালীন বাংলাদেশি কিছু দর্শকের পাকিস্তানের পতাকা ও জার্সি গায়ে সমর্থন দেয়াকে পরিকল্পিত ও রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি বলছে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বুধবার বিকেল ৪টার দিকে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ মন্তব্য করেন বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর নেতারা।
তারা বলেন, অনুশীলনের সময় ৩০ লাখ শহীদের দেশে পাকিস্তানের পতাকা পুঁতে রাখা মেনে নেয়া যায় না। ’৭১-এর ঘটনায় এখনও ক্ষমা চায়নি পাকিস্তান। লুট করা সম্পদও ফেরত দেয়নি তারা। মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত হলেও পাকিস্তানের প্রেতাত্মা এখনও এ দেশে সক্রিয়।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এ ঘটনার দায় এড়াতে পারেন না উল্লেখ করে নেতারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে তলব করে প্রতিবাদ জানানো উচিত ছিল। কাউকে বিচারের আওতায়ও আনা হয়নি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
সাব্বাহ আলী খান কলিন্সের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের সভাপতি হাফিজ আদনান রিয়াদ, জাতীয় যুব জোটের সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকন, বাংলাদেশ যুব আন্দোলন সহসাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন সৈকত, জাতীয় যুব ঐক্যের সভাপতি খায়রুল আলম, বাংলাদেশে যুব মৈত্রীর সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিক ও কায়সার আলম। সঞ্চালনা করেন যুব মৈত্রীর সহসাধারণ সম্পাদক তাপস দাস।