আওয়ামী লীগ থেকে সদ্য বহিষ্কৃত গাজীপুর সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত এক আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধর করছেন কয়েক যুবক।
নিউজবাংলার হাতে এসেছে এ ঘটনার একটি ভিডিও।
ওই নেতা হলেন নগরীর ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্যসচিব আবুল হোসেন। বুধবার দুপুরে কয়েকজন তাকে ঘিরে ধরে মারধর করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে আবুল হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে প্রথমে তিনি এড়িয়ে যান। পরে অবশ্য বলেন, ‘মান-সম্মানের ভয়ে কাউকে বলিনি। এখন তো হামলাকারীরা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দিয়েছে।’
কারা হামলা করেছে? আবুল হোসেন বলেন, ‘গত সোমবার ভরান এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য মিম আমার দোকানে এসে খেয়ে বিল না দিয়ে চলে যায়। এ সময় পাশের সেলুন দোকানের এক কাস্টমারকেও চড়-থাপ্পড় দিয়ে চেয়ার থেকে উঠিয়ে দেয় মিম। বিষয়টি দেখে আমি তাকে বুঝিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দিই।
‘বুধবার দুপুরে জোহরের নামাজের পর মধুমিতা মেগা সিটির সামনে ছাত্রলীগ নেতা ইমরান খান হৃদয় ও আকাশের নেতৃত্বে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। প্রথমে মান-সম্মানের ভয়ে কাউকে কিছু জানাইনি। এখন জানাজানি হওয়ার পর আমি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে থানায় গিয়েছি আইনগত ব্যবস্থা নিতে।’
মেয়র জাহাঙ্গীরের অনুসারী কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জাহাঙ্গীর আলম দলের সাধারণ সম্পাদক এবং মেয়র। তিনি আমার ছেলেকে সিটি করপোরেশনে চাকরি দিয়েছেন। সেই সুবাদে তার কাছে যেতাম। তাকে বহিষ্কার করার পর তার সঙ্গে আমাদের দলীয় কোনো সম্পর্ক নেই।
‘একসময় ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ করেছি। এখন আওয়ামী লীগ করছি। কখনও এমন অপদস্থ হইনি। আজ আমার ওপর তারা কেন হামলা করল বুঝতে পারছি না।’
তিনি জানান, হামলাকারী ইমরান খান হৃদয় গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খানের ভাতিজা।
হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ইমরান। তিনি বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। ঘটনার সময় আমি বাসার সামনের ভরান মসজিদে ছিলাম। ঘটনাস্থলে ছিলাম না।’
এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাসুদ বলেন, এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি।