ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরায় পৌর ও নগর পঞ্চায়েতের নির্বাচন বৃহস্পতিবার। এর আগের দিন বুধবার রাজধানী আগরতলাসহ রাজ্যের সবক’টি ভোটকেন্দ্রকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
ত্রিপুরা রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, কুড়িটি থানার মোট ৬৪৪টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৩৭০টিকে অতি স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাকি ২৭৪টি কেন্দ্র স্পর্শকাতর।
নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জোর দিয়ে অতি স্পর্শকাতর কেন্দ্রগুলোর প্রতিটিতে ত্রিপুরা সশস্ত্র বাহনীর পাঁচজন করে সদস্য মোতায়েন থাকবে। আর স্পর্শকাতর কেন্দ্রে টিআরএসের (ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস) চারজন করে সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। তা ছাড়া আগরতলার জন্য বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে রাজ্য কমিশন সূত্রে জানা গেছে। স্ট্রং রুম ও সরকারি প্রেসে দুজন করে সিআরপিএফ মোতায়েন থাকবে।
একজন নন গেজেটেড অফিসারের নেতৃত্বে মোতায়েন করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রিটার্নিং অফিসারদের দেয়া হচ্ছে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষী। অবজারভারদের নিরাপত্তারক্ষী ও এসকর্ট দেয়া হচ্ছে। আগরতলা পৌর নিগম এলাকায় মোতায়েন করা হচ্ছে সিআরপিএফের অতিরিক্ত ১৫টি দল।
আগরতলা উমাকান্ত অ্যাকাডেমিতে তৈরি হয়েছে ডিসিআরসি অফিস। সেখান থেকে ভোট কর্মীরা ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের উদ্দেশ্য রওনা হয়েছেন।
ত্রিপুরা পৌর নির্বাচনের আগে শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে সবক’টি বিরোধী দল সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে। তৃণমূলের কর্মী ও নেতা-নেত্রীরা ত্রিপুরায় আক্রান্ত হচ্ছেন বলে বার বার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকি ত্রিপুরা পৌর নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও করেছিল তৃণমূল। যদিও তৃণমূলের আর্জি বাতিল করে শীর্ষ আদালত ত্রিপুরা পুলিশকে নির্দিষ্ট দিনে শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ ভোট করার নির্দেশ দিয়েছে।
এদিকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে নিশানা করে ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন অভিযোগ করে বলেছেন, ‘ত্রিপুরায় কোন গণতন্ত্র নেই।’ এই অভিযোগ নিয়ে বিজেপি অস্বস্তিতে পড়েছে।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ত্রিপুরায় চূড়ান্ত নৈরাজ্য ও জঙ্গল-রাজ চলছে। আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই।’ ত্রিপুরার সিপিএম নেতৃত্বও পৌর নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।