বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পিবিআই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দেবেন কার্টুনিস্ট কিশোর

  •    
  • ২৪ নভেম্বর, ২০২১ ১৮:১৫

সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বলেন, বাদী অসুস্থ হওয়ায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। এ জন্য নারাজি দিতে সময়ের আবেদন করেন আইনজীবী।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে শারীরিক নির্যাতনের মামলায় পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দেবেন কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর।

মামলাটির প্রতিবেদনের ওপর বুধবার শুনানি হয়। ওই সময় সঠিকভাবে তদন্ত হয়নি মর্মে নারাজি দিতে কিশোরের আইনজীবী জাহিদুল ইসলাম সময় চেয়ে আবেদন করেন।

শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ সময় আবেদন গ্রহণ করে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি নারাজি দাখিলের তারিখ ঠিক করেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, বাদী অসুস্থ হওয়ায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। এ জন্য নারাজি দিতে সময়ের আবেদন করেন আইনজীবী।

সম্প্রতি আদালতে এ সংক্রান্ত তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান প্রতিবেদন জমা দেন।

সাদা পোশাকে অজ্ঞাতনামা ১৬ থেকে ১৭ জনের বিরুদ্ধে কিশোরকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হয়নি মর্মে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

এর আগে গত ১০ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে মামলাটির আবেদন করেন কার্টুনিস্ট কিশোর।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ২ মে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ১৬ থেকে ১৭ জন সাদা পোশাকধারী কাকরাইলের বাসা থেকে জোর করে কিশোরকে হাতকড়াসহ মুখে মুখোশ পরিয়ে নির্জন একটি জায়গায় নিয়ে যায়।

কিশোর এজাহারে উল্লেখ করেন, “বিকেলে বাসার কলিংবেল বাজার শব্দ শুনে আমার ঘুম ভাঙে। দরজা খুলতেই অপরিচিত একজন বলল, ‘দরজা খোলেন না কেন? লুঙ্গি পরিবর্তন করে প্যান্ট পড়ে নেন, সঙ্গে একটা ভালো শার্ট।’ আমি তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা আমাকে কিছুই বলেনি। ঘরে ঢুকেই তারা তল্লাশি শুরু করে। আমাকে কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেখাতে পারেনি।”

কিশোর আরও উল্লেখ করেন, ‘আমার বাসা থেকে আমার মোবাইল, সিপিইউ, পোর্টেবল হার্ডডিস্কসহ যত ডিজিটাল ডিভাইস ছিল সবই তারা অবৈধভাবে নিয়ে যায়। আমাকে যখন হাতকড়া পরিয়ে বাসার নিচে নামিয়ে আনা হয়, তখন বাসার সামনে ৬-৭টি গাড়ি অপেক্ষা করছিল। এরপর আমাকে একটি গাড়িতে ওঠানো হয়। আমার বাসার সামনে অনেক মানুষ জড়ো হয়েছিল। আমি তখন প্রচণ্ড জোরে জোরে চিৎকার করি, কিন্তু গাড়িতে অনেক বড় শব্দ করে গান বাজানো হচ্ছিল।

‘তাই হয়তো আমার চিৎকারের শব্দ বাইরে শোনা যায়নি। পরবর্তী সময়ে আমি বুঝতে পারলাম আমাকে একটি পুরোনো এবং স্যাঁতস্যাঁতে বাড়ির ভেতরে আনা হয়েছে। গাড়ির হর্নের শব্দ পাচ্ছিলাম। কিছুক্ষণ পর প্রজেক্টরে একের পর এক কার্টুন দেখিয়ে সেগুলোর মর্মার্থ জানতে চাওয়া হয়। করোনা নিয়ে আমার আঁকা কিছু কার্টুন দেখিয়ে কেন এঁকেছি এবং কার্টুনের চরিত্রগুলো কারা প্রশ্ন করা হয়। একপর্যায়ে প্রচণ্ড জোরে আমার কানে থাপ্পড় মারে। কিছুক্ষণের জন্য আমি বোধশক্তিহীন হয়ে পড়ি।’

কিশোর বলেন, ‘বুঝতে পারছিলাম আমার কান দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে। তারপর স্টিলের পাত বসানো লাঠি দিয়ে পায়ে পেটাতে থাকে। যন্ত্রণা এবং ব্যথায় সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েছিলাম। এভাবে কয়েক দফা আমার ওপর শারীরিক এবং মানসিক টর্চার, অত্যাচার চালায়। পরবর্তী সময়ে আমি নিজেকে র‍্যাবের কার্যালয়ে দেখতে পাই। র‍্যাবের কার্যালয়ে মুশতাক আহমেদের সঙ্গে দেখা হয়।

‘মুশতাক আহমেদের সঙ্গে আলাপ আলোচনায় সে আমাকে জানায়, তাকে বৈদ্যুতিক শক দেওয়া হয়েছিল। এরপর গত ৬ মে আমাদের রমনা থানায় পাঠানো হয়। বর্তমানে আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ; কান দিয়ে পুঁজ পড়ে, হাঁটতে গেলে হঠাৎ করে পড়ে যাই এবং শরীরে আরও বিভিন্ন রোগের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর