লন্ডনে বসে খালেদা জিয়াকে রাজনীতি করার সুযোগ দিতেই বিএনপি নেতারা তাকে বিদেশে পাঠাতে চান বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সচিবালয়ে বুধবার ঢাকাস্থ চট্টগ্রাম সাংবাদিক সমিতির নবনির্বাচিত নেতারা সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অতীতেও আমরা দেখেছি যে বেগম জিয়া অসুস্থ হলে সব সময় তারা দাবি তুলেছে তাকে বিদেশ পাঠাতে হবে। হাঁটুতে ব্যথা বা শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলেও তাকে বিদেশ পাঠাতে হবে। কিছু হলেই বিদেশ পাঠাতে হবে- এই জিকির তোলার কারণটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
‘বিএনপি নেতারা বিশেষত বেগম জিয়াকে পাঠাতে চান লন্ডনে, যেখানে তারেক জিয়া আছে। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হয়েও বেগম জিয়া যাতে সেখান থেকে আবার রাজনীতি করতে পারেন। তারেক রহমানও দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হয়ে সেখান থেকে রাজনীতি করছেন। আসলে বেগম জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর দাবিটা তার স্বাস্থ্যগত কারণে নয়, রাজনৈতিক কারণে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জীবন সংকটাপন্ন এটি বলেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, রিজভীসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। কোনো ডাক্তার এখনও বলেননি যে খালেদা জিয়ার জীবন সংকটাপন্ন। বিএনপি নেতাদের প্রেসক্রিপশনে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে কিনা সেটিও এখন প্রশ্ন।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেগম জিয়ার যাতে সঠিক চিকিৎসা হয় সেজন্য সরকার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা দিতে বদ্ধপরিকর। সরকার দেশের ভেতরে যেকোনো ব্যবস্থা নিতে চায়। দেশে অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আছেন। তারা কি সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসক দিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করতে? বেগম জিয়ার আসলে কী হয়েছে সেটা পরীক্ষা করার কথা তো তারা বলছেন না। তারা বলছেন বিদেশে পাঠিয়ে দিতে হবে।’
‘আমি বিএনপিকে অনুরোধ করবো বেগম জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে অসুস্থ রাজনীতি করতে। বেগম জিয়াকে অসুস্থ রেখে তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায়। এতে করে বেগম জিয়াকে অসম্মান করা হচ্ছে।’
হাতির মৃত্যু উদ্বেগজনক
দেশে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি বন্য হাতির মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। হাতির মৃত্যু ঠেকাতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দিন দিন হাতির মৃত্যু বাড়ছে। গত কয়েক বছরে দেশে ১৩৭টি হাতির মৃত্যু হয়েছে। এটি সত্যি উদ্বেগজনক।
‘হাতির মৃত্যুর বেশকিছু কারণও আছে। নানা কারণে বনভূমি কমে গেছে। হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হচ্ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জন্যও হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হয়েছে। আবাস স্থলগুলোতে মানুষ বসবাস করছে, চাষাবাদ করছে। ফাঁদ পাতা হচ্ছে। এক্ষেত্রে খুব দ্রুত আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে।’