বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তামাক চাষ বন্ধে সরকার খুবই দ্বিধা-দ্বন্দ্বে: কৃষিমন্ত্রী

  •    
  • ২৪ নভেম্বর, ২০২১ ১৭:১৬

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘ভাল আয় আসছে তামাক থেকে। সরকার খুবই দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে রয়েছে। তবে পলিসি লেভেলে আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত, আমরা আস্তে আস্তে তামাক থেকে বেরিয়ে আসব। তামাক এই দেশে ফসল হিসেবে থাকবে না।’

দেশে এই মুহুর্তে তামাক চাষ বন্ধ করা নিয়ে সরকারের মধ্যে দ্বিধা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। তবে নীতিগত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ধীরে ধীরে তামাক চাষ বন্ধের কথা বলেছেন তিনি।

ইউরোপ সফর শেষে বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তামাক চাষ বন্ধে সরকার পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে তামাক চাষ একদম উৎসাহিত করি না। আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত হলো, এটাকে নিরুৎসাহিত করা। তারপরও আমাদের এখনও কিছু মানুষ তামাক খায়।’

তিনি বলেন, ‘জাপানের মতো একটি দেশ যারা নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে...মানবিক দিকগুলো নিয়ে তারা অনেক কাজ করে এবং নীতিতে খুবই অটল। তারাও এদেশে এসে বিনিয়োগ করছে তামাকের ওপরে, রপ্তানি করার জন্য।

‘ভাল আয় আসছে তামাক থেকে। সরকার খুবই দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে রয়েছে। তবে পলিসি লেভেলে আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত, আমরা আস্তে আস্তে তামাক থেকে বেরিয়ে আসব। তামাক এই দেশে ফসল হিসেবে থাকবে না।’

সারে ভর্তুকি কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেলেও এখনই দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী। বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়টার ওপরেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তবে আমরা একটা বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে চাই, যে সারের দাম ২৫০, ২৩০-২৭০ ডলার ছিল, সেটা এখন ৮০০-৯০০ ডলার। চারগুণ বেড়েছে।

‘আমরা সারে ৯০০ কোটি টাকা দেই সাবসিডি (ভর্তুকি)। এটা এবার মনে হয় ২০ হাজার কোটি টাকা দিতে হবে। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এখন পর্যন্ত আমাদের বলেছেন, উনি সারের কোনো দাম বাড়াবেন না।’

সম্প্রতি সরকার ডিজেলের যে দাম বৃদ্ধি করেছে তার প্রভাব কৃষিখাতে পড়বে কি না, জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রভাব তো অবশ্যই পড়বে, এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। এমনি আমাদের কৃষকরা নানান সমস্যায় জর্জরিত। পিক সিজনে তারা ফসলের দাম পায় না।

‘সেজন্য কৃষিপণ্য প্রসেসিংয়ের কথা আমরা বলছি, বাণিজ্যিকরণ কিংবা বিদেশে রপ্তানি...বাজারে গিয়ে তারা যাতে ভাল দাম পায়, এগুলোর উদ্যোগ গ্রহণ করা।’

তিনি বলেন, ‘৪০ শতাংশ সেচ মেশিন বিদ্যুতে চলে, তাদের খুব অসুবিধা হবে না, কিন্তু ডিজেলে ক্ষেত্রে সমস্যা হবে। দেখা যাক দামের ট্রেন্ডটা তো কমের দিকে আছে, যদি কমে সরকারও ডিজেলের দাম কমাবে।

‘ডিজেলে ভর্তুকি দিলে এটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এটা নিয়ে বিক্রি করে দেবে। সেচ যন্ত্রের কথা বলে অন্য কাজে ডিজেল ব্যবহার করবে। ডিজেলে সাবসিডি দেয়া কঠিন হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর