বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘দেশের বিরোধিতা কারও ইচ্ছার স্বাধীনতা হতে পারে না’

  •    
  • ২৪ নভেম্বর, ২০২১ ১৬:৩০

ঘরোয়া ক্লাবভিত্তিক খেলায় সমর্থন আলাদা বিষয়। কিন্তু বিষয়টা যখন জাতিগত, তখন সেটা কখনও ঐচ্ছিক হতে পারে না। আমি মনে করি যে, এটা নিজের জাতির বিরুদ্ধে যাওয়া; যা এক ধরনের অপরাধ। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে সেখানে তো বাংলাদেশের কোনো সমর্থক পাবেন না।

বাংলাদেশের সঙ্গে ক্রিকেট ম্যাচে পাকিস্তানের পতাকা-জার্সি গায়ে দেশের বিরুদ্ধে গলা চড়াচ্ছেন কিছু মানুষ। এই দৃশ্য দেখে সহ্য করতে পারেননি একদল তরুণ। প্রতিরোধের ডাক নিয়ে তারা স্টেডিয়ামে যাওয়ার পর ‘পাকিস্তানি সমর্থক’ বাংলাদেশিদের আর সেভাবে দেখা যায়নি।

‘পাকিস্তানি দালাল রুখবে তারুণ্য’ নামে এই প্রতিরোধের আহ্বানের নেতৃত্বে হামজা রহমান অন্তর নামে এক তরুণ। তিনি একজন ক্রিকেটপ্রেমী, রাজনৈতিক কর্মী। জড়িত ছাত্রলীগের রাজনীতিতে।

বিশৃঙ্খলা ছাড়াই ‘সফল’ হওয়া এই তরুণ নিউজবাংলার মুখোমুখি হয়েছেন। বলেছেন তার সেই প্রতিরোধের ডাকের পেছনে কী চিন্তা ছিল। পাকিস্তানকে সমর্থনের পক্ষে যেসব যুক্তি সামনে আনা হচ্ছে, সেগুলোকে খেলো উল্লেখ করে এই তরুণ বলেছেন, দেশের বিরোধিতা করা কারও ইচ্ছার স্বাধীনতা হতে পারে না।

পাকিস্তানের মাটিতে তাদের সঙ্গে ম্যাচ হলে এবং পাকিস্তান বাজে খেললে কেউ বাংলাদেশকে এভাবে সমর্থক করতেন কি না, সেই প্রশ্ন রাখেন হামজা। জানিয়েছেন, মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের মতো চট্টগ্রামেও জারি থাকবে তাদের প্রতিরোধ।

এ রকম একটি উদ্যোগ কেন নিলেন?

আসলে উদ্যোগটা হঠাৎ করেই নেয়া। কারণ বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের চলমান যে ক্রিকেট সিরিজ তার টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ থেকেই আমরা দেখেছি যে, কিছু দর্শক বাংলাদেশি হয়েও পাকিস্তানের পতাকা ও জার্সি নিয়ে মাঠে আসছেন। প্রথম ম্যাচে আমরা এটা লক্ষ্য করি। দ্বিতীয় ম্যাচেও একই জিনিস আমরা লক্ষ্য করি। তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিই এই বিষয়টির একটি প্রতিবাদ করা দরকার। আমরা সিদ্ধান্ত নিই, আমরা তরুণদের একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলে আমরা মাঠে গিয়ে এর প্রতিবাদ করব।

এ উদ্যোগে আপনার সঙ্গে আর কারা কারা ছিল?

এই উদ্যোগটা আমরা প্রথমে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমেই জানান দিই। এর পরে যারা অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট আছেন, তারা সংগঠিত হন। এরপর আমরা একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলি।

একটি সংগঠনের ব্যানারে আমরা বিভিন্ন মিডিয়া হাউসে প্রেস রিলিজ দিই, তৃতীয় ম্যাচের খেলার ঠিক আগের দিন। ‘পাকিস্তানি দালাল রুখবে তারুণ্য’ এই সংগঠনের মাধ্যমে আমরা তরুণ প্রজন্মকে একত্রিত করি। আমাদের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সবাই ছিল। ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের যারা বাংলাদেশকে ধারণ করেন তারা ছিলেন।

অনেকে বলার চেষ্টা করছেন, যার যার ইচ্ছামতো দলকে সমর্থন করার অধিকার আছে। কী বলবেন?

আসলে এটা তো কোনো ক্লাব ফুটবল কিংবা ক্রিকেট নয়। কোনো ঘরোয়া লিগও না। এখানে একটা জাতির সঙ্গে আরেকটা জাতির খেলা হচ্ছে। আমরা যদি ব্রিটিশ আমলের দিকে দেখি, কলকাতায় মোহনবাগানের সঙ্গে ব্রিটিশ বাহিনীর সেই ঐতিহাসিক ম্যাচ। সেই ম্যাচের মাধ্যমেই ভারতীয় জাতীয়তাবাদের প্রকাশ ঘটেছিল। সেই ম্যাচটিকে শতবর্ষ পরে আজও খুবই গৌরবের সঙ্গে স্মরণ করা হয়।

ঘরোয়া ক্লাবভিত্তিক খেলায় সমর্থন আলাদা বিষয়। কিন্তু বিষয়টা যখন জাতিগত, তখন সেটা কখনও ঐচ্ছিক হতে পারে না। আমি মনে করি যে, এটা নিজের জাতির বিরুদ্ধে যাওয়া, যা এক ধরনের অপরাধ। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে সেখানে তো বাংলাদেশের কোনো সমর্থক পাবেন না।

অনেকে এও বলার চেষ্টা করছেন যে, বাংলাদেশ পারে না বলে এমনটা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?

অনেকে বলে যে বিসিবির ভুল সিদ্ধান্ত কিংবা বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা খারাপ খেলছে বলে এটা প্রতিবাদ। অনেকে এর পক্ষে সাফাই গাওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু এটা বলে আসলে দায় এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। বিশ্বের ক্লাব পর্যায়ের খেলায় আমরা দেখেছি, বার্সেলোনা কিংবা রিয়াল মাদ্রিদ যখন খারাপ খেলে তখন সমর্থকরা কিন্তু তাদের দুয়ো ধ্বনি দেন। সেখানেও কিন্তু তাদের সমর্থকরা তাদের ছেড়ে অন্য দলকে সমর্থন করেন না।

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রা খারাপ খেললে আমরা তাদের সমালোচনা করতে পারি। আমরা অবশ্যই তাদের বিপক্ষের খেলোয়াড়দের সমর্থন করব না। আমি মনে করি, যাদের পারিবারিক শিক্ষার অভাব আছে, যাদের পূর্বপুরুষরা একাত্তর সালে বাংলাদেশের বিরোধিতাকারী, এটা তারাই করছেন।

আসলে তাদের পারিবারিক শিক্ষাটাই এমন যে তারা বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি পতাকা ও জার্সি নিয়ে মাঠে আসছেন। এটা কিন্তু ছোট করে দেখার কোনো উপায় নেই।

পাকিস্তানের পক্ষে সমর্থন এর আগেও বাংলাদেশে দেখা গেছে। কিন্তু বাংলাদেশের বিপক্ষের ম্যাচে এভাবে দেখা যায়নি। আপনার কী মনে হয়, কারণ কী?

এটা আসলে ভূরাজনৈতিক কিছু কারণেও হতে পারে। আমার ধারণা, পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইরমান খান কিংবা পূর্ববর্তী রাষ্ট্রপ্রধান অনেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে আবার বাংলাদেশের কনফেডারেশনের কথা বলেছেন। তাদের একটা ভাব এমন যে, ‘ভাইয়েরা ভাইয়েরা অনেক কিছু হয়েছে, আসুন আমরা সব ভুলে যাই। ওনারা চান আমরা যাতে আবার এক হয়ে যাই।’

এটা আসলে কীভাবে সম্ভব? ৩০ লাখ শহীদ ও ৩ লাখ বীরাঙ্গনার আত্মচিৎকারের বিনিময়ে আমরা এই বাংলাদেশ পেয়েছি। আমরা কী এগুলোকে এত সহজেই ভূলুণ্ঠিত হতে দিতে পারি।

আমরা তাদের সঙ্গে আবার এক হবো এটা আসলে সম্ভব না। কিন্তু পাকিস্তান সরকার থেকে শুরু করে তাদের এ দেশে যারা এজেন্ট, আমার ধারণা তাদের একটা মিশন আছে, বাংলাদেশে তারা সমর্থকদেরকে উসকে দিতে চায়। তারা এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।

আপনি কি এটা অনুমান করছেন? না এর পক্ষে আপনার কাছে তথ্য আছে?

তথ্যপ্রমাণ তো রাষ্ট্রীয় বিষয়। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট চিন্তা করলে দেখা যায়, জুলফিকার আলী ভুট্টোও কিন্তু বলেছিলেন, আমরা আবার কনফেডারেশন করি। ইমরান খানও (পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী) কিন্তু কয়েক দিন আগে একই কথা বলেছেন যে আমরা তো একই, এক হয়ে যাই।

আমরা খেলার মাঠেও দেখেছি, বাংলাদেশে যারা তাদের অনুসারী- দালাল আছে, তারা কিন্তু কয়েকটি মিডিয়ার বলেছে, পাকিস্তান আর বাংলাদেশ একই দেশ। তাহলে কী ৩০ লাখ শহীদ, ৩ লাখ বীরাঙ্গনা- এগুলো বৃথা।

পাকিস্তানের কাছ থেকে আমরা স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি, তারা কিন্তু আমাদের দয়া দেখিয়ে স্বাধীনতা দেয়নি। আমরা এখনও তাদের কাছে বিপুল পরিমাণে ক্ষতিপূরণ পাই, কিন্তু দিচ্ছে না।

আপনাদের প্রতিহতের ঘোষণায় অনেকে পতাকা কিংবা জার্সি পরে আসেননি কিন্তু পাকিস্তানের পক্ষে স্টেডিয়ামে কেউ কি গলাও ফাটায়নি?

হ্যাঁ, পাকিস্তানের পক্ষে অনেকেই গলা ফাটিয়েছেন। আমাদের ঘোষণা ছিল, কোনো বাংলাদেশি যদি পাকিস্তানি প্রতীক পতাকা ও জার্সি নিয়ে মাঠে আসেন আমরা তাকে প্রতিহত করব। তবে পাকিস্তানসহ অন্য বিদেশি নাগরিকদের আমরা কিছু বলিনি। যারা এ দেশের মাটিতে খেয়ে-পরে, এ দেশের আলো-বাতাসে বড় হয়ে পাকিস্তানকে সমর্থন করছেন, আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম তাদের প্রতিহত করব। তার প্রভাবও কিন্তু আপনারা দেখেছেন। মাঠের বাইরে ও মাঠের মধ্যেও চুপিসারে পাকিস্তানি পতাকা ও জার্সি নিয়ে গিয়েছিলেন সেই বাংলাদেশিদের কিন্তু আমরা প্রতিহত করেছি।

ধরে নিলাম, আপনাদের ঘোষণায় ভয় পেয়েছে। কিন্তু এভাবে কি সমাধান হবে?

পাকিস্তানি চিহ্নকে যদি আমরা চোখের সামনে থেকে সরাতে পারি, একসময় তাদের মন থেকেও সরাতে পারব। তারা একসময় বাংলাদেশের ইতিহাস জানবে, বুঝতে শিখবে। আমার ধারণা, আসলে তাদের মধ্যে ইতিহাসের শিক্ষার অভাব। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে, ইতিহাসের চর্চা বাড়াতে হবে, যাতে আমাদের প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাথা জানতে পারে।

গতকাল আমরা যখন ঘোষণা দিয়ে স্টেডিয়ামে এসেছি, কিন্তু স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের শুরুতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত করিনি। স্টেডিয়ামের বাইরে মিরপুরের অনেক স্কুল ও কলেজ পড়ুয়াদের আমরা সমর্থন পেয়েছি। তাদের মধ্যে ইতিহাসের শিক্ষা ছিল বলেই তারা এসেছে। আমরা তাদের কোনো কিছু করতে বলিনি। তারপরও কিন্তু তারা আমাদের সমর্থন করতে এসেছে। এদের হাতেই তো আমরা আমাদের পতাকা দিয়ে আমরা সার্বভৌম বাংলাদেশ নিশ্চিত করব।

আপনারা যেভাবে পাসপোর্ট পরীক্ষা করেছেন, সেটা কি আপনারা পারেন? পুরো ঘটনায় তো বিশৃঙ্খলাও হতে পারত! ঝুঁকি হয়ে গেল না?

আমরা কোনো পাকিস্তানি নাগরিকের পাসপোর্ট পরীক্ষার কর্মসূচি দিইনি। কোনো পাকিস্তানি নাগরিকের পাসপোর্ট পরীক্ষাও করিনি। কোনো পাকিস্তানি নাগরিকের সঙ্গে আমরা দ্বন্দ্বেও জড়াইনি। তবে কিছু বাংলাদেশি স্টেডিয়ামে গিয়ে নিজেদের পাকিস্তানি বলে পরিচয় দিয়েছেন। তারা বলতে চেয়েছেন, তারা পাকিস্তানের সমর্থক। এমন সন্দেহভাজন বাঙালিদের কয়েকজনকে আমরা পরীক্ষা করেছি। এর মধ্যে দুই-একজন পাকিস্তানি নাগরিক ঢুকে গেছেন, যা বিচ্ছিন্ন ঘটনা।

আমাদের পরিকল্পনাই ছিল শান্তিপূর্ণভাবে বিষয়টি করতে হবে। কোনো বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা আমাদের ছিল না।

আপনারা যাদের স্টেডিয়ামে পেয়েছেন, তারা আসলে কারা? তাদের কারও পরিচয় পেয়েছেন কি? কারণ অনেকে বলার চেষ্টা করছেন তারা আটকে পড়া পাকিস্তানিদের উত্তরসূরি। তাদের সঙ্গে সামনাসামনি কথা বলে কী মনে হয়েছে?

তারা তো পরিষ্কার বাংলা ভাষায় কথা বলছেন। তাদের কাছে যখন জানতে চাইলাম, আপনি বাঙালি, বিহারি না পাকিস্তানি, তখন তারা বলেছেন, বাঙালি ও বাংলাদেশি। তাদের বাড়ি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায়। তারা ঢাকায় চাকরি করেন। এমনটা নয় যে তারা আটকে পড়া পাকিস্তানিদের ছেলেমেয়ে কিংবা নাতিপুতি।

আপনি বলছেন, কয়েকজন আপনাকে বলেছেন তারা বাঙালি। কিন্তু তাহলে তারা কেন এমনটা করেছেন, কাউকে কি জিজ্ঞেস করেছেন?

তারা বলার চেষ্টা করছেন খেলা। যেকোনো দলকে তো ভালো লাগতেই পারে। তবে কেউ কিন্তু এটা বলেনি যে, বাংলাদেশ খারাপ খেলছে বলে তারা প্রতিবাদস্বরূপ এমনটা করেছেন।

আপনাদের কর্মসূচি কি এখানেই শেষ, নাকি অব্যাহত থাকবে?

হ্যাঁ। ভবিষ্যতেও আমরা এ কর্মসূচি অব্যাহত রাখব। পাকিস্তানের সঙ্গে টেস্ট সিরিজেও এটা চলমান থাকবে।

পাকিস্তানে যদি বাংলাদেশের খেলা হতো এবং পাকিস্তানের নাগরিকরা যদি বাংলাদেশকে সমর্থন করতেন, তাহলে কী হতো বলে আপনার ধারণা?

পাকিস্তানে যখন বাংলাদেশের খেলা হয়, পাকিস্তানের কোনো মানুষ বাংলাদেশকে সমর্থন করেন না। কিন্তু পাকিস্তানে বাংলাদেশের সমর্থক আছেন, একই ঘটনা ভারতেও। ভারতেও বাংলাদেশি সমর্থক আছেন, বাংলাদেশ-পাকিস্তান খেলা হলে ভারতের অনেক মানুষ বাংলাদেশের সমর্থন করেন। কিন্তু নিজ দেশের খেলা হলে কিন্তু করেন না। একমাত্র বাংলাদেশেই দেখা যায় নিজের দেশের বিরুদ্ধে গিয়ে অন্য দেশকে সমর্থন করা।

আমি মনে করি এটা কখনোই ঐচ্ছিক কোনো বিষয় হতে পারে না। কারণ, আমার নিজের বাবাকে যদি খারাপ লাগে, তাহলে তো আমি আমার পাশের বাসার চাচাকে বাবা ডাকব না।

পাকিস্তানে পাঞ্জাব ছাড়া অনেকগুলো প্রদেশ স্বাধীনতা চায়, কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের খেলা হলে আমার ধারণা তারা পাকিস্তানকেই সমর্থন করবে। তাছাড়া এমনিতে পাকিস্তান সরকারও তাদের দেশের সঙ্গে খেলায় অন্য দেশকে সমর্থন করবে, এটা মেনে নেবে না।

কয়েক দিন আগে আমরা দেখেছি, পাকিস্তানের এক দর্শক ভারতের ক্রিকেটার বিরাট কোহলির ভক্ত। এটা তিনি জানান দেয়ায় তার জেল হয়েছে।

তবে আমরা এটাও দেখেছি, পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়ার এক ক্রিকেট ম্যাচে পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের কয়েকজন পাকিস্তানের পরাজয়ে উল্লাস করেছেন। সেটার সঙ্গে তো আমাদের এটাকে মেলালে হবে না। বেলুচিস্তান স্বাধীনতার আন্দোলন করছে। তারা পাকিস্তানকে ঘৃণা করে।

এ বিভাগের আরো খবর