খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে বিএনপি। মাঝে বিরতি দিয়ে মোট সাতদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।
বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কর্মসূচি ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এসব কর্মসূচি ম্যাডামের স্বাস্থ্য পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। প্রয়োজনে ঘোষিত কর্মসূচিতে পরিবর্তন আসতে পারে। আমরা কোনো হঠকারী কর্মসূচির মধ্যে যেতে চাই না।’
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আগামীকাল ২৫ নভেম্বর জাতীয়তাবাদী যুবদল ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে। ঢাকার কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় প্রেসক্লাবে। ২৬ নভেম্বর সারাদেশে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়া মাহফিল হবে। ২৮ তারিখে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ করবে। ঢাকার কর্মসূচি হবে জাতীয় প্রেসক্লাবে। ৩০ নভেম্বর রয়েছে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ। ১ ডিসেম্বর জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকাসহ সারাদেশে সমাবেশ করবে। ঢাকার সমাবেশ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত হবে। ৩ ডিসেম্বর জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের পক্ষ থেকে সারাদেশে মানববন্ধন করা হবে। ঢাকার মানববন্ধন হবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে। সর্বশেষ ৪ ডিসেম্বর জাতীয়তাবাদী মহিলা দল ঢাকাসহ সারাদেশে মৌন মিছিল করবে।
মির্জা ফখরুলের ৱ সভাপতিত্বে যৌথ সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বয়ক আব্দুস সালাম, উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম, যুবদল সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ প্রমুখ।