দেশে করোনা সংক্রমণের হার গত দুই মাস ধরে দুই শতাংশের নিচে থাকলেও যেকোনো সময় এ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে বুধবার দুপুরে মৃগী রোগের চিকিৎসায় গাইডলাইনের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার দীর্ঘদিন ধরেই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে যেকোনো সময়ে এ পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে পারে। করোনা এখনও হুমকির পরিস্থিতিতে রয়েছে। ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে করোনা পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে।’
মন্ত্রী বলেন, অন্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে এখনো মাস্ক খুলে ঘোরাফেরা করার সময় আসেনি।
টিকার বিষয়ে তিনি বলেন, আগামীতে আরও বেশি পরিমাণে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। ২৫ শতাংশ মানুষ ২ ডোজ টিকা পেয়েছেন। এ পর্যন্ত দেশের ৪০ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। এটা চলতে থাকবে।
সরকার অন্য রোগীদের নিয়ে যেমন কাজ করছে, মৃগী রোগীদের জন্যও কাজ করবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নিউরো সমস্যায় যারা পড়েন তাদের জন্য নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউট তৈরি করা হয়েছে। নাক, কান ও গলার জন্য আলাদা ইনস্টিটিউট করা হয়েছে। ইপিলিপসি রোগীদের জন্যও আধুনিক প্রতিষ্ঠান তৈরির জন্য কাজ করব।’
দেশে ২০ লাখ অটিস্টিক শিশু আছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মৃগী রোগ নিয়ে গ্রামে একসময় অনেক ভুল ধারণা ছিল। সবাই বলত ভূত ধরেছে। এটা ভুল ধারণা। গর্ভবতী মা আঘাত পেলে বা ডেলিভারির সময় মায়ের শরীরে অক্সিজেনস্বল্পতা দেখা দিলে বাচ্চাদের এ সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
সোসাইটি অফ নিউরোলজিস্ট বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ফিরোজ আহমেদ কোরাইশীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব (স্বাস্থ্য শিক্ষা), আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বিসিপিএস সভাপতি অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।