চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা ইউপিতে নৌকা ও বিদ্রোহী প্রার্থীর নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। এ জন্য উভয় প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীকে অভিযুক্ত করেছেন।
উপজেলার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বড়বোয়ালিয়া গ্রামে বুধবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম।
অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। টহল দিচ্ছে র্যাব।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাহিদ হাসনাত সোহাগ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ভাংবাড়িয়া ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক কাওসার আহমেদ বাবলু। তিনি নির্বাচনে আনারস প্রতীক নিয়ে বিদ্রোহী হয়েছেন।
‘মঙ্গলবার রাতে তার ভাই মিজান নৌকার একটি অফিসও থাকবে না বলে হুমকি দিয়েছিলেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার ভোর ৪টার দিকে আমার বড়বোয়ালিয়া গ্রামের নির্বাচনি অফিসে হামলা চালান তারা। ঘটনার পরপরই আমি বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি। এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি।’
অভিযোগ অস্বীকার করে বিদ্রোহী প্রার্থী কাওসার আহমেদ বাবলু বলেন, ‘আমার শান্ত গ্রামকে কিছু মানুষ অশান্ত করার চেষ্টা করছে। নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা আমার কর্মী-সমর্থকদের বসতবাড়িতে হামলা করেছেন। আমার অফিস ভাঙচুর করেছেন। আমরা তাদের অফিস ভাঙচুর করিনি।’
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম ও মেহেরপুর গাংনী র্যাব ক্যাম্পের সদস্যরা। ওসি সাইফুল জানান, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।