বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাচারের ঝুঁকিতে রোহিঙ্গারা, জাতিসংঘকে জানাল বাংলাদেশ

  •    
  • ২৪ নভেম্বর, ২০২১ ১২:২৮

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, মানব পাচারের মূল কারণগুলো বিশেষ করে জলবায়ুজনিত নাজুক পরিস্থিতি এবং সংঘাত ও বাস্তুচ্যুতির মতো মানবসৃষ্ট কারণগুলো খুঁজে বের করতে হবে। এসব সমাধান করতে হবে এবং রোধ করতে হবে।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা সম্প্রদায় মানব পাচারের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জাতিসংঘকে জানিয়েছে বাংলাদেশ। ঢাকা বলছে, নিজ দেশে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের কোনো অগ্রগতি না থাকায় এ ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।

জাতিসংঘের সদর দপ্তরে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন থেকে বুধবার পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তরে মানব পাচার রোধে বৈশ্বিক কর্ম পরিকল্পনা মূল্যায়নের ওপর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ এক উচ্চ পর্যায়ের সভা আয়োজন করে। এতে বাংলাদেশের বক্তব্য তুলে ধরেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

তিনি বলেন, মানব পাচারের মূল কারণগুলো বিশেষ করে জলবায়ুজনিত নাজুক পরিস্থিতি এবং সংঘাত ও বাস্তুচ্যুতির মতো মানবসৃষ্ট কারণগুলো খুঁজে বের করতে হবে। এসব সমাধান করতে হবে এবং রোধ করতে হবে।

২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইনে সেনাচৌকিতে বিদ্রোহীদের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে অভিযান চালায় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী।

সেই সময় থেকে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আসে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। আগে থেকেই বাংলাদেশে ছিল চার লক্ষাধিক রোহিঙ্গা।

এত বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে নানা ধরনের সংকটে পড়েছে জনবহুল বাংলাদেশ। বিষয়টি আন্তর্জাতিক ফোরামে বিভিন্ন সময়ে জানিয়েছে বাংলাদেশের কর্তাব্যক্তিরা।

মানব পাচার হ্রাসে শ্রম অভিবাসনের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান রাবাব ফাতিমা।

বিবৃতিতে বলা হয়, মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমনে শক্তিশালী আইনি কাঠামো, বহু-অংশীজনের অংশীদারত্ব এবং কার্যকর আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে বাংলাদেশ।

জাতিসংঘে দেয়া বক্তব্যে বাংলাদেশ স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, মানব পাচার একটি গুরুতর অপরাধ, যা মানবাধিকার ও মানবিক মর্যাদার মৌলিক নীতিগুলোর পরিপন্থি।

মানব পাচার রোধে শেখ হাসিনা সরকার গৃহীত বিভিন্ন আইন, নীতি ও প্রাতিষ্ঠানিক পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

তিনি বলেন, ‘শ্রমিক পাচারসহ মানব পাচার ও চোরাচালানের মধ্যে যে যোগসাজশ রয়েছে তা আমলে নিয়েই আমরা জাতীয় পর্যায়ে মানব পাচারবিরোধী কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকি। এ ছাড়া, এ বিষয়ক আইন প্রণয়নে আমরা পালারমো প্রটোকল অনুসরণ করেছি।’

এই রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে জাতীয় কর্মপরিকল্পনাকে এসডিজি বাস্তবায়ন পরিকল্পনা ও জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনার সঙ্গে সন্নিবেশিত করেছে, যা মানব পাচার রোধে ভূমিকা রেখেছে।

পাচারের শিকার ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদান এবং এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে এনজিও, সুশীল সমাজসহ অন্যান্য সংস্থাসমূহের কাজের স্বীকৃতি প্রদানেও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

বিভিন্ন অনানুষ্ঠানিক খাত এবং নিজ দেশে ফেরত অভিবাসীদের ওপর কোভিডের ভয়াবহ প্রভাবের উদাহরণ টেনে জীবিকার সুযোগ তৈরি এবং রাষ্ট্রগুলোর কোভিড পুনরুদ্ধার পরিকল্পনায় তাদের অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

মানব পাচার প্রতিরোধবিষয়ক সাধারণ পরিষদে রেজুলেশনের আওতায় দুই দিনব্যাপী উচ্চ পর্যায়ের এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মানব পাচার প্রতিরোধে বৈশ্বিক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি মূলায়ন করা হয়। সভায় এ বিষয়ক একটি রাজনৈতিক ঘোষণা গৃহীত হয়।

মূল আয়োজনের পাশাপাশি বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, নাইজেরিয়া, কাতার, যুক্তরাজ্য ও ইউএনওডিসি একটি উচ্চ পর্যায়ের সাইড ইভেন্ট আয়োজন করে।

এ বিভাগের আরো খবর