বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বঙ্গবন্ধু কর্নারের সামনে গ্যারেজ, আসবাবের স্তূপ

  •    
  • ২৪ নভেম্বর, ২০২১ ০৮:২৩

হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, দন্ত বহির্বিভাগের সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুর্লভ ছবি, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে বই ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ের নানা ছবিসংবলিত বঙ্গবন্ধু কর্নারের সামনে মোটরসাইকেল ও হাসপাতালের বিভিন্ন আসবাবপত্র রেখে পুরো জায়গাটির প্রদর্শনীর পরিবেশ নষ্ট করা হয়েছে।

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সম্পর্ককে নতুন প্রজন্মের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও ঐতিহ্যের চর্চা অব্যাহত রাখতে দেশে প্রতিটি হাসপাতালে বঙ্গবন্ধু কর্নার করার উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার।

অধিকাংশ স্থানের মতো নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও স্থাপন করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু কর্নার। তবে সেই স্থান এখন পরিত্যক্ত। অযত্ন, অবহেলা আর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় বঙ্গবন্ধু কর্নারের সামনেই তৈরি হয়েছে অস্থায়ী মোটরসাইকেল গ্যারেজ। এ ছাড়া হাসপাতালের বিভিন্ন আসবাবপত্রও রাখা হয়েছে সেখানে।

হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, দন্ত বহির্বিভাগের সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুর্লভ ছবি, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে বই ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ের নানা ছবিসংবলিত বঙ্গবন্ধু কর্নারের সামনে মোটরসাইকেল ও হাসপাতালে বিভিন্ন আসবাবপত্র রেখে পুরো জায়গাটির প্রদর্শনীর পরিবেশ নষ্ট করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু কর্নারের এমন অবস্থা অনেকেই অবশ্য মেনে নিতে পারেননি। শুরু হয়েছে সমালোচনা।

কেউ বলছেন, জাতির কর্ণধারের ছবির সামনে মোটরসাইকেল গ্যারেজ ও ময়লা আসবাবপত্র রাখার কাজটি ঠিক হয়নি। কর্তৃপক্ষ চাইলে পরিষ্কার ও সুন্দরভাবে স্থানটি রাখতে পারতেন। আবার কেউ বলছেন, বাঙালির অবিসংবাদিত এই মহান নেতার ছবি এইভাবে রেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বঙ্গবন্ধুর অবমাননা করেছেন।

পত্নীতলার স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাশেম বলেন, ‘পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জনগণের প্রদর্শনীর জন্য বঙ্গবন্ধু কর্নার তৈরি করেছে, এতে আমরা খুব খুশি হয়েছিলাম, কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় বঙ্গবন্ধু কর্নারের সামনে মোটরসাইকেল পার্কিং ও হাসপাতালের বিভিন্ন আসবাবপত্র রেখে পুরো জায়গাটির প্রদর্শনী পরিবেশ নষ্ট করা হয়েছে।

‘এতে বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করা হয়েছে। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এর প্রতিকার এবং বঙ্গবন্ধু অবমাননাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’

স্থানীয় আরেক বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক ও কলামিস্ট এবিএম রফিকুল ইসলাম জানান, ‘জাতির পিতার নামে কর্নারে আজ গ্যারেজ ও আসবাবপত্রের স্তূপ করা হয়েছে, যা দেখে চরমভাবে ব্যথিত হয়েছি। এটা কোনোভাবেই মানতে পারছি না।

‘সরকারি সেবাদান প্রতিষ্ঠান এমনটা কীভাবে করতে পারে, সত্যিই অবাক হচ্ছি। তাদের মতো দায়িত্বহীন ব্যক্তিরা কীভাবে হাসপাতালে চাকরি করে। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হোক। নইলে আমরা হাসপাতাল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মাঠে নামব।’

পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা খালিদ সাইফুল্লাহ্ অবশ্য বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধু কর্নার এখনও উদ্বোধন করিনি। এটা বড় আকারে করব, এ জন্য একটু দেরি হচ্ছে।’

প্রতিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মুজিববর্ষ উপলক্ষে যে বঙ্গবন্ধু কর্নার হেল্প ডেস্ক উদ্বোধন হয়েছিল সেটি কোথায় জানতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোন আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার দেবাশীষ রায়কে দিয়ে দেন।

ডা. দেবাশীষ রায় নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার হেল্প ডেস্ক ছিল প্যাথলজি বিভাগের সামনে। সেখানে আমরা মুজিব কর্নার হিসেবে বিভিন্ন বই রেখেছিলাম। তারপর আমরা বড় পরিসরে করছি, এটির কাজ চলমান। এখনও কাজ শেষ হয় নাই।’

এটি বলার পরই ফোনের সংযোগ কেটে দেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর