ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ঘিরে প্রচারে ব্যস্ত নওগাঁর মান্দা উপজেলার প্রার্থীরা। একই সঙ্গে চলছে একে অপরকে দোষারোপ।
৬ নম্বর মৈনম ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াছিন আলী রাজার বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মঙ্গলবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত সামন্ত কুমার।
সামন্ত কুমার বলেন, ‘আনারস প্রতীকের ইয়াছিন আলী প্রতি ভোটারকে ছাতা ও নগদ ৩০০ টাকা করে দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, নৌকার সমর্থকদের দেয়া হচ্ছে নানা হুমকি। বিষয়টি লিখিতভাবে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাচন কর্মকর্তাকে জানানো হলেও, কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।’
দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশংকার কথাও জানান নৌকার এই প্রার্থী।
এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইয়াছিন আলী। তিনি বলেন, ‘নৌকার সমর্থকরা উল্টা আমার সমর্থকদের হুমকি দিচ্ছেন। কয়েক দিন আগে আমার ছেলে ও সমর্থকদের মারধর করেছে। নির্বাচন থেকে সরে যেতে চাপ দিচ্ছে তারা।’
তিনি আরও বলেন, ২০০৫ সাল থেকে টানা তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আমি। জনগণ ব্যক্তি হিসেবে আমাকে পছন্দ করে।
ছাতা বিতরণ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে মিনিস্টার কোম্পানিতে চাকরি করে। সে কয়েকজনকে ছাতা দিয়েছে। এর সঙ্গে ভোটের যোগসূত্র নেই।’
মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘দুই পক্ষ অভিযোগ দিয়েছেন। তাদের সতর্ক করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
মান্দা উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ১৪, আওয়ামী লীগের বিদ্রোর্হী (স্বতন্ত্র) ২২, স্বতন্ত্র হয়ে লড়া বিএনপি নেতা ১৪ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ৭, জাতীয় পার্টির ৬ জনসহ ৯৩ জন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ২৮ নভেম্বর এই উপজেলায় ভোট।