চলতি বছর প্রাথমিকের কোনো শ্রেণিতে বার্ষিক পরীক্ষা হচ্ছে না। তবে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে পরবর্তী শ্রেণিতে উন্নীত করবে।
মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহাম্মদ মনসুরুল আলমের সই করা অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, কোডিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের আগে ১৬ই মার্চ ২০২০ পর্যন্ত বিদ্যালয়ে স্বাভাবিক পাঠদান চলছিল। করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের শিখন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, কমিউনিটি রেডিও এবং শিক্ষকরা নিজ উদ্যোগে মোবাইল ফোন ও ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান পরিচালনা করে।
এ প্রেক্ষাপটে নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে শিক্ষকদের।
কীভাবে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে, এমন প্রশ্নে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বাড়ির কাজ, অ্যাসাইনমেন্ট ইত্যাদি কার্যক্রমে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত অংশ নিয়েছে। এসব মূল্যায়ন করে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের পরের শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মূল্যায়ন করার নির্দেশনা মানে এই নয় যে শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন-উত্তরের মাধ্যমে পরীক্ষা নেয়া হবে। বিভিন্নভাবেই মূল্যায়ন করা যেতে পারে, তা নির্ধারণ করবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এটা এমন হতে পারে বাড়ির কাজ, গুগল মিটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যা শিখেছে তা দেখেও মূল্যায়ন করা যেতে পারে।’
এর আগে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিইসি) বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়। তখন বলা হয়েছিল, এবার ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সমাপনী পরীক্ষা হবে না। বার্ষিক পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের মূল্যায়ন করা হবে।
পরে ৭ অক্টোবর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘শুরু থেকে আমরা পরীক্ষা নেয়ার পক্ষে ছিলাম, কিন্তু অষ্টম শ্রেণির জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় বর্তমানে পঞ্চম শ্রেণির পিইসি-ইইসি পরীক্ষা নেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।’
এর আগে ২৮ সেপ্টেম্বর শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, গত বছরের মতো চলতি বছরে অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও মাদ্রাসার জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা হবে না। তবে শ্রেণি সমাপনী পরীক্ষা সব ক্লাসে হবে, সেটা অষ্টম শ্রেণিরও হবে।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর ২০২০ সালের ১৭ মার্চ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। এর প্রায় দেড় বছর পর গত ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল-কলেজে ক্লাস শুরু হয়। তবে প্রতিদিন সব শ্রেণিতে ক্লাস হচ্ছে না।