বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নাচে-গানে খাসিয়াদের বর্ষবিদায়

  •    
  • ২৩ নভেম্বর, ২০২১ ২০:২৭

উৎসবের মঞ্চ এবার সাজানো হয়েছে বাঁশ, কলাপাতা ও সুপারিপাতা দিয়ে। মেলাও বসে সেখানে। অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয় কলাপাতায় মোড়ানো ঐতিহ্যবাহী খাবার দিয়ে।

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে নাচে-গানে উদযাপিত হয়েছে খাসিয়া সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহীয় বর্ষ বিদায় ও বর্ষবরণ অনুষ্ঠান খাসি সেং কুটস্নেম। খাসিয়ারা নিজস্ব আয়োজনে ১২২ তম বছরকে বিদায় জানিয়েছেন।

কমলগঞ্জেের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন মাগুরছড়া খাসি পুঞ্জি মাঠে মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই উৎসব। নাচ-গানের পাশাপাশি আয়োজন করা হয় ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা ও আলোচনা সভারও।

ব্রিটিশ আমল থেকে খাসিয়ারা প্রতি বছরের ২৩ নভেম্বর এই অনুষ্ঠান করে আসছেন।

মাগুরছড়া পুঞ্জির মন্ত্রী ও খাসি সোশ্যাল কাউন্সিলের সভাপতি জিডিশন প্রধান সুচিয়াং জানান, খাসি সেং কুটস্নেম উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এই আয়োজন করা হয়।

তিনি জানান, খাসিয়া জনগোষ্ঠীর রয়েছে বৈচিত্র্যময় জীবনগাঁথা। প্রাচীন খাসি সমাজে দেবতার প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশের মধ্য দিয়েই এ উৎসব পালিত হত। এরই ধারাবাহিকতায় এখন নিজেদের বিশেষ বর্ণিল পোশাকে সেজে এই সম্প্রদায়ের লোকজন উৎসবটি উদযাপন করে। দিনভর চলে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

উৎসবের মঞ্চ এবার সাজানো হয়েছে বাঁশ, কলাপাতা ও সুপারিপাতা দিয়ে। মেলাও বসে সেখানে। অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয় কলাপাতায় মোড়ানো ঐতিহ্যবাহী খাবার দিয়ে।

খাসিয়া তরুণী সালভেশন বলেন, ‘আমাদের এ উৎসব একটা মিলনমেলার মতো। উৎসবকে কেন্দ্র করে আমরা সবাই জড়ো হই। এ বছর করোনার কারণে উপস্থিতি কম। তারপরও যতটুকু হয়েছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট।’

আদিবাসী রক্ষা আন্দোলনের নেতা ফিলা ফতমি বলেন, ‘খাসিরা দীর্ঘদিন ধরে সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করে আসছেন। পাহাড়ের পাদদেশে বিভিন্ন টিলা এলাকায় তাদের বসবাস। দরিদ্র্যসীমার নিচে বাস করলেও তারা অত্যন্ত নিরীহ। তারা প্রকৃতির পূজারী।’

অনুষ্ঠানে ছিলেন বৃহত্তর সিলেট আদিবাসী ফোরামের সভাপতি জিডিসন প্রধান সুচিয়াঙ, লাউয়াছড়া খাসিয়া পুঞ্জি প্রধান ফিলা পত্মী, মণিপুরী সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আনন্দ মোহন সিংহ, সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক আকমল হোসেন নিপু, চা শ্রমিক নেতা পরিমল বাড়াইকসহ অনেকে।

উৎসব দেখতে জড়ো হন বাঙালি এবং বিদেশী পর্যটকরাও।

এ বিভাগের আরো খবর