মলনুপিরাভির কোভিড-১৯ চিকিৎসায় 'গেম চেঞ্জার' হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ।
মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘কোভিড ১৯ বর্তমান পরিস্থিতি’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমরা ভালো আছি এটা সত্য; তবে এই ভেবে যেন আত্মতৃপ্তিতে না ভুগি।’
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. বিল্লাল আলম। আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আহমেদুল কবির।
এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, কোভিডের মুখে খাওয়ার ওষুধ মলনুপিরাভির বাড়িতে ব্যবহার করা সম্ভব। করোনা প্রতিরোধে এই ওষুধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। কারণ এটি মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার কোভিড-১৯ রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যু হার ৫০ শতাংশ হ্রাস করে।
ডা. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘ইউরোপের দেশগুলোতে আবার করোনা বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে জার্মানি, ইউকে, রাশিয়াতে বেশি হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রেও আক্রান্তের হার বাড়ছে। সে সঙ্গে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। করোনা কখন বাড়ে, কখন কমে কেউ বলতে পারবে না। রাশিয়া ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছে। ৭০ থেকে ৮০ ভাগ লোক ভ্যাকসিনের আওতায় এসেছে। তারপরও সেখানে করোনা নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না।
‘সে হিসেবে আমরা বলতে পারি যে এখানে সংক্রমণের হার অনেক কম। মৃত্যুও কম। তবে যেকোনো সময় করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যেতে পারে। করোনা থেকে বাঁচার দুটি রাস্তা। একটি হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মানা, আরেকটি হচ্ছে টিকা দেয়া।’
সেমিনারে অংশ নিয়ে ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ রিসার্চ সেন্টারের প্রধান অধ্যাপক রিদওয়ানুর রহমান বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর মৃদু থেকে মাঝারি উপসর্গের ক্ষেত্রে চিকিত্সায় মলনুপিরাভির মুখ্য ভূমিকা পালন করবে।’
সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বেক্সিমকো ফার্মার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান বেক্সিমকোর মার্কেটিং ডিরেক্টর রিজভী উল কবির। তিনি বলেন, ‘বেক্সিমকো মহামারী চলাকালীন সব সময় চিকিৎসকদের পাশে থেকেছে। আগামী দিনগুলোতেও থাকবে। বেক্সিমকো ফার্মা ভবিষ্যতে সাশ্রয়ী মূল্যে সর্বাধুনিক থেরাপিউটিক বিকল্প এবং মানসম্পন্ন ওষুধ নিশ্চিত করবে।’