জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) আগুন নেভানোর কাজে ব্যবহার হওয়া অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দেয়ালে লাগানো অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের কোনোটিরই এখন মেয়াদ নেই। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো দুর্ঘটনায় ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, দপ্তর, কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় বিপুল সংখ্যক শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীর সমাগম প্রতিদিন। এমন জায়গায় অগ্নি দুর্ঘটনায় প্রথম ভরসা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র। অথচ সেগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরনো নতুন মিলিয়ে মোট ৮০টির মতো অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র আছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তর। প্রায় প্রতিটি বিভাগে একটি করে এবং নিউ একাডেমিক ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে একাধিক বিভাগ থাকায় দুই পাশে দুটি করে সিলিন্ডার রাখা হয়েছে। এক বছর আগে এ যন্ত্রগুলো নতুন করে লাগানো হলেও কিছু কিছু জায়গায় পুরনো সিলিন্ডারগুলো পাল্টানো করা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, দপ্তরের দেয়ালে লাগানো অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রগুলোর মেয়াদ চলতি বছরের ২১ নভেম্বর শেষ হওয়ার পরও সেগুলো রিফিল করার জন্য এখনও সরিয়ে নেওয়া হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান ও রসায়ন বিভাগসহ বিজ্ঞান অনুষদের বেশ কয়েকটি বিভাগে রাখা সিলিন্ডারগুলো পরীক্ষা করে দেখা যায়, সেগুলো ২০২০ সালের শুরুতেই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে গত বছর।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মো. হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মেয়াদ শেষ হয়েছে, দ্রুতই এগুলো আবার রিফিল করা হবে। দ্রুত ফাইল পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এখন আর টেন্ডার করা লাগে না, ফায়ার সার্ভিস থেকে সরাসরি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রিফিল করা যায়। যেগুলোর মেয়াদ গত বছর শেষ হয়েছে, সেগুলো সরিয়ে নেওয়া হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হককে জানালে নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘ওটা (উপাচার্যের কনফারেন্স কক্ষের সামনে) রিফিউল করা হবে। আগামীকাল ফাইল আসবে। আমি আগামীকালই পাশ করে দিবো। শুধু ওটা না সব রিফিল করা হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র আধুনিক মেডিকেল সেন্টারে নেই অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ তলা নিউ একাডেমিক ভবনের সপ্তম তলা পর্যন্ত অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রয়েছে। তবে ভবনটির অষ্টম, নবম ও দশম তলায় একাডেমিক কার্যক্রম চললেও সেখানে রাখা হয়নি কোনো অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তর বলছে, যেসব তলায় নতুন করে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র প্রয়োজন, সেগুলো হিসাব করে পরবর্তীতে তা একত্রে কেনা হবে।