ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় শিশু ফরহাদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামি এবং যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত এক আসামিকে খালাস দিয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছে চেম্বার আদালত।
হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের চেম্বার আদালত এ আদেশ দেয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।
পরে তিনি জানান, চেম্বার আদালত শুনানি নিয়ে খালাস দেয়ার হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পূর্বশত্রুতার জেরে এবং বাড়ির পাশে জুয়া খেলার প্রতিবাদ করাকে কেন্দ্র মুক্তাগাছার খেরুয়াজানি গ্রামের আইয়ুব আলীর সঙ্গে সাজাপ্রাপ্তদের বিরোধ চলছিল। ২০১০ সালের ৪ মে আসামিরা আইয়ুব আলীর শিশু পুত্র ফরহাদকে অপহরণ ও হত্যা করে মরদেহ গর্তে লুকিয়ে রাখে। পরে পরিবারের লোকজন ঘটনার তিনদিন পর ফরহাদের গলিত মরদেহ ওই গর্ত থেকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে ফরহাদের বাবা আইয়ুব আলী বাদী হয়ে মুক্তাগাছা থানায় সাতজনের নামে একটি হত্যা মামলা করেন। পরে এসআই ওমর আলী তদন্ত করে সাত আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
বিচার শেষে ২০১৫ সালের ৯ নভেম্বর এ রায় ঘোষণা করে আদালত। রায়ে পিতা-পুত্রসহ ছয় জনকে মৃত্যুদণ্ড ও এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মুক্তাগাছার আব্দুল কুদ্দুস ও তার ছেলে সাহেব আলী, ইব্রাহিম ও তার ছেলে জুয়েল, আব্দুল মজিদ মধু এবং মোন্তাজ আলী। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হলেন আব্দুল কুদ্দুসের স্ত্রী কমলা খাতুন।
বিচারিক আদালতের রায়ের পরে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে এবং আসামিরা আপিল করে। দুটির একসঙ্গে শুনানি শেষে চলতি বছরের ১১ নভেম্বর আসামিদের খালাস দিয়ে রায় দেয় হাইকোর্ট। এই খালাসের রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত এ আদেশ দেয়।