বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে মানবিক কারণে বিনাশর্তে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার অনুমতি দিতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন দেশের ৭১ জন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।
মঙ্গলবার জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) আহ্বায়ক হেলাল খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই অনুরোধ জানানো হয়।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিজ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। চিকিৎসকরা তাকে উন্নততর চিকিৎসার জন্য বিদেশের বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থানান্তর করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন। পরিবারের সদস্যরাও তাই মনে করছেন।’
বিষয়টিকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে না দেখার আহ্বান জানান তারা। তাদের প্রত্যাশা, প্রধানমন্ত্রী সব কিছুর ঊর্ধ্বে গিয়ে মানবিক বিবেচনায় খালেদা জিয়াকে বিদেশে গিয়ে সুচিকিৎসার অনুমতি দেবেন।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন- গীতিকার ও চলচ্চিত্রকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার, চিত্রনায়ক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল, গীতিকার মনিরুজ্জামান মনির, চিত্রনায়ক হেলাল খান, কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন, কনক চাঁপা, আসিফ আকবর, গীতিকার মুনশি ওয়াদুদ, ডা. এম এ আজিজ, ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী, জাকির হোসেন রোকন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট সদস্য লিয়াকত আলী, সংগীত পরিচালক ইথুন বাবু, কণ্ঠশিল্পী রিজিয়া পারভীন, চলচ্চিত্র পরিচালক হাফিজ উদ্দিন, চিত্রনায়িকা শাহরিয়া ইসলাম শায়লা, সংগীত পরিচালক জাবেদ আহমেদ কিসলু, কণ্ঠশিল্পী হাসান চৌধুরী, গ্রুপ থিয়েটার কর্মী জাহেদুল আলম হিটো, সাংবাদিক শামসুদ্দিন দিদার, অভিনেতা চৌধুরী মাজহার আলী শিবা সানু, কণ্ঠশিল্পী জামাল উদ্দিন নাসির (নাসির), নৃত্যশিল্পী ফারহানা চৌধুরী বেবী, কণ্ঠশিল্পী আব্দুল মান্নান রানা, সাংবাদিক এস এম মনিরুল ইসলাম, চারুশিল্পী রুস্তম আলী প্রামানিক, কবি ও অভিনেতা এবিএম সোহেল রশিদ, চলচ্চিত্র পরিচালক শেখ দিদারুল ইসলাম দিদার, চলচ্চিত্র পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, অভিনেত্রী রিনা খান, নাট্য পরিচালক দীন মোহাম্মদ মন্টু, অভিনেতা আমির, চিত্রনায়ক আবির, চারুশিল্পী এফ এম আনিস, নাট্যকর্মী নাহিদ উল্লাহ চৌধুরী, কণ্ঠশিল্পী শাহিনুর আবেদীন, আলোকচিত্র শিল্পী বাবুল তালুকদার, বাচিক শিল্পী এনামুল হক জুয়েল, কণ্ঠশিল্পী আশরাফ হোসেন শাহিন, চলচ্চিত্র পরিচালক সাঈদুর রহমান সাঈদ, চিত্রগ্রাহক ও চলচ্চিত্র পরিচালক রেজা লতিফ, চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক সামছুল আলম, কাহিনীকার ও চলচ্চিত্র পরিচালক আবু সাঈদ খান, চলচ্চিত্র পরিচালক এ জে রানা, চিত্র সম্পাদক মইনুল হাসান খোকন, চলচ্চিত্র পরিচালক নাসির উদ্দিন মিলন, তারেকুল ইসলাম ভূঁইয়া (সায়মন তারেক), হোসাইন আনোয়ার, মোস্তাফিজুর রহমান মহারাজ, সাজেদুর রহমান সাজু, হানিফ রেজা মিলন, কাজী আলমগীর, এ কে এম ফিরোজ বাবু ও জ্যাম্বস কাজল, নৃত্য পরিচালক সাইফুল ইসলাম, চিত্রগ্রাহক ইস্তফা রহমান, চলচ্চিত্র পরিচালক শফিক হাসান, অভিনেত্রী কেয়া চৌধুরী, গীতিকার নাজমা সাঈদ, সাংবাদিক মিজানুর রহমান, নাট্যকর্মী শফিকুল হাসান রতন, কণ্ঠশিল্পী সাবিনা আক্তার মুক্তা, কণ্ঠশিল্পী শীলা মল্লিক, চিত্রসম্পাদক একরামুল ইসলাম একরাম, চিত্রসম্পাদক সহিদুল ইসলাম সহিদ প্রমুখ।