বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেয়ার সময় জ্ঞান হারালেন সাক্ষী

  •    
  • ২৩ নভেম্বর, ২০২১ ১৮:৪২

প্রসিকিউটর ঋষিকেশ সাহা বলেন, ‘লাল বিবির জবানবন্দি শেষ হলে নিয়ম অনুযায়ী আসামিপক্ষ জেরা করার কথা। এসময় তিনি কাঠগড়া থেকে নিচে নেমে দাঁড়ান। এরপর দেখলাম দাঁড়ানো থেকে লাল বিবি হঠাৎ করে পড়ে গেলেন। তখন দ্রুত তাকে ট্রাইব্যুনালের সিটে এনে শোয়ানো হয়। পরে মুখে পানি ছিটিয়ে দেখি তিনি জ্ঞান হারিয়েছেন।’

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গাইবান্ধার আটজনের বিরুদ্ধে মামলায় সাক্ষ্য দেয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এক সাক্ষী। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ভর্তি করানো হয়েছে।

মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ ঘটনা ঘটে।

৭০ বছর বয়সী ওই সাক্ষীর নাম লাল বিবি। তিনি মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের পঞ্চম সাক্ষী ছিলেন।

ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দিয়ে অসুস্থ হয়ে মেঝেতে পড়ে যান লাল বিবি। এ সময় তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মামলার সংশ্লিষ্ট প্রসিকিউটর ঋষিকেশ সাহা।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘লাল বিবির জবানবন্দি শেষ হলে নিয়ম অনুযায়ী আসামিপক্ষ জেরা করার কথা। এসময় তিনি কাঠগড়া থেকে নিচে নেমে দাঁড়ান। এরপর দেখলাম দাঁড়ানো থেকে লাল বিবি হঠাৎ করে পড়ে গেলেন। তখন দ্রুত তাকে ট্রাইব্যুনালের সিটে এনে শোয়ানো হয়। পরে মুখে পানি ছিটিয়ে দেখি তিনি জ্ঞান হারিয়েছেন।’

প্রসিকিউটর ঋষিকেশ সাহা বলেন, ‘পড়ে ট্রাইব্যুনাল থেকে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে তার সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। চিকিৎসক তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।’

আদালত মামলার জন্য ২৬ ডিসেম্বর দিন ঠিক করে দিয়েছেন।

আদালতের আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন আব্দুস সাত্তার পালোয়ান, গাজী এমএইচ তামিম ও আবুল হাসান।

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গাইবান্ধার আটজনের বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পন্ন করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। এরপর গত বছরের ২০ জানুয়ারি অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল। ২৫ ফেব্রুয়ারি মামলার সাক্ষ্য নেয়া শুরু হয়।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন গোবিন্দগঞ্জের শ্রীমুখের মোফাজ্জল হক প্রধান, নাসিরাবাদ কলোনীর মো.আব্দুল করিম, মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন, মো.সামছুল ইসলাম খান, হামিদপুর চিত্তিপাড়ার মো.সেকান্দার আলী, হরিপুরের মো.আকরাম প্রধান, পুনতাইন আগপাড়ার মো.হাফিজুর রহমান এবং ও বামন হাজরার মো. আব্দুল মান্নান।

আটজনের মধ্যে শরীফ উদ্দিন, সামছুল ইসলাম ও আব্দুল মান্নান তিনজন পলাতক। আর জামিনে আছেন মোফাজ্জল হক প্রধান ও নাসিরাবাদ কলোনীর মো.আব্দুল করিম।

আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের ১০ মে থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাটাবাড়ী ইউনিয়নের ১ নং ও ৭ নং কাটাবাড়ী গ্রাম এবং মহিমগঞ্জ ইউনিয়নের শ্রীপতিপুর ও বালুয়াগ্রামে আটক, অপহরণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে।

তাদের বিরুদ্ধে মোট চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

প্রথম অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ১০ মে আসামিরা কাটাবাড়ী ইউনিয়নের ৭নং কাটাবাড়ী গ্রামের শহীদ জিয়া মণ্ডল, শহীদ মনা মণ্ডল ও শহীদ ওমেছ মণ্ডলকে আটক, অপহরণ, নির্যাতন, জবাই করে হত্যা এবং লুণ্ঠন চালায়। এরপর শহীদ জিয়া মণ্ডলের ছেলে আব্দুর রশীদ ও আব্দুল জোব্বার এবং কাঁঠালবাড়ী উত্তরপাড়ার মো. আজিজার রহমানকে আটক, অপহরণ ও নির্যাতন করে।

দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ২২ জুলাই আসামিরা মহিমগঞ্জ ইউনিয়নের বালুয়া গ্রামের মো. ইউনুস আলী আকন্দের বাড়িতে তার স্ত্রীসহ দুইজনকে ধর্ষণ করে।

তৃতীয় অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ৩ আগস্ট রাতে আসামিরা গোবিন্দগঞ্জের শ্রীপতিপুর গ্রামের শহীদ আব্দুল কাদের সরকার, শহীদ আব্দুস সোবহান আকন্দ ও শহীদ এমাদ উদ্দিন আকন্দকে আটক, অপহরণ, হত্যা এবং ওই গ্রামের একজনকে ধর্ষণ করে।

চতুর্থ অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর আসামিরা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের ১নং কাটাবাড়ী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ দেলোয়ার হোসেন ওরফে দুলাল এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শাহজালাল মিয়া ওরফে ঝালু মিয়াকে আটক, অপহরণ, হত্যা করে লুণ্ঠন চালায়।

এ বিভাগের আরো খবর