বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আরও ১০ হাজার স্কুলে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব

  •    
  • ২৩ নভেম্বর, ২০২১ ১৮:১৯

একনেক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণে সরকার নতুন নতুন উদ্যোগ নিচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ‘ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন’ প্রকল্পটি অনুমোদন দিয়েছে একনেক। এর মাধ্যমে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপনের পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়েও বিভিন্ন আইটি সেবা সহজ করা হবে।’

ছাত্রজীবন থেকে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিমনস্ক করে গড়ে তুলতে দেশের প্রায় আট হাজার স্কুলে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আরও ১০ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ডিজিটাল ল্যাব স্থাপনের নতুন প্রকল্প নিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে দেশের সব সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন করে ১ লাখ ১০ হাজার উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগও দেয়া হবে।

এ সংশ্লিষ্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ‘ইস্টাবলিশিং ডিজিটাল কানেকটিভিটি’ বা ‘ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন’ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

একনেকের মঙ্গলবারের সভায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একনেকের অন্য সদস্যরা শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সভায় অংশ নেন।

একনেক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণে সরকার নতুন নতুন উদ্যোগ নিচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ‘ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন’ প্রকল্পটি অনুমোদন দিয়েছে একনেক। এর মাধ্যমে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপনের পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়েও বিভিন্ন আইটি সেবা সহজ করা হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলমসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। ৫ হাজার ৮৮৩ কোটি টাকার এ প্রকল্পে ৩ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা ঋণ দেবে চীন সরকার। এর মাধ্যমে সরকারের সেবাগুলোকে ই-সেবায় রূপান্তরের মাধ্যমে জনগণের কাছে দ্রুত ও সহজে পৌঁছে দেয়া এবং সকল ক্ষেত্রে আইসিটির ব্যবহার বৃদ্ধিকল্পে প্রয়োজনীয় আইসিটি অবকাঠামো স্থাপন করা হবে।

প্রকল্পটির আওতায় দেশব্যাপী ১ লাখ ৯ হাজার ২৪৪টি ব্রডব্যান্ড অ্যান্ড ইউজার সংযোগ দেয়া হবে, ১০ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন, জেলা পর্যায়ে ৫৭টি বিশেষায়িত ল্যাব, সেন্ট্রাল ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম এবং ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি সেন্টার অব এক্সিলেন্স স্থাপন করা হবে।

জেলা ও উপজেলা কমপ্লেক্সে আইটি অবকাঠামোসহ ল্যান, নেটওয়ার্ক অপারেশন সেন্টার (এনওসি) স্থাপন, ৫৫৫টি ডিজিটাল সার্ভিস স্টোরেজ অ্যান্ড ইকুইপমেন্ট ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন, মাঠ পর্যায়ের ক্লাউড ফাইল সার্ভিস স্থাপন করা হবে।

ডিজিটাল স্টোরেজের জন্য কেন্দ্রীয় সার্ভার অবকাঠামো স্থাপন, আইসিটি ল্যাব, স্মার্ট ভার্চুয়াল ক্লাসরুম, ডিসট্যান্স লার্নিং প্ল্যাটফর্মসহ প্রয়োজনীয় আইসিটি অবকাঠামো সুবিধাসংবলিত একটি ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার স্থাপন, সিভিল রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস (সিআরভিএস) বাস্তবায়নে সিআরভিএস সেন্ট্রাল আইএসডিপি সার্ভার স্থাপন এবং ১টি ২১ তলাবিশিষ্ট ‘ডিও আইসিটি টাওয়ার’ নির্মাণ করা হবে।

তাছাড়া মাঠ পর্যায়ে সাড়ে ৫ হাজার এনরোলমেন্ট অবকাঠামো স্থাপন এবং ১৭ হাজার ৩১৪টি সার্ভিস ডেলিভারি ডিভাইস বিতরণ, ১০টি ডিজিটাল ভিলেজ স্টেশন স্থাপন, ৪৯২টি অনাবাসিক ভবন নির্মাণ, উপজেলা শেয়ারড আইসিটি অপারেশন সেন্টারের জন্য ৪৯১ উপজেলা বিল্ডিং একতলা ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা হবে। ১০টি ডিজিটাল ভিলেজ স্টেশনের আওতায় ফিল্ড সার্ভে এবং ২০ হাজার কৃষককে স্মার্ট সেন্সর ডিভাইস দেয়া হবে।

এ ছাড়া দক্ষতা বাড়াতে ৪০ জনকে বৈদেশিক প্রশিক্ষণে পাঠানো হবে, জাতীয়ভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে ৩ হাজার ৩৩৫ জনকে এবং স্থানীয়ভাবে প্রশিক্ষণ পাবেন ১৬ হাজার ৮২১ জন। সেমিনার এবং কনফারেন্সও আয়োজন করা হবে।

আইসিটি বিভাগ বলছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের সব সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উচ্চগতিসম্পন্ন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত হবে, প্রান্তিক পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রযুক্তি ব্যবহার ও চর্চা বৃদ্ধি পাবে, ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রয়োজনীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন ও গবেষণা সম্ভব হবে, সরকারি সেবা স্বচ্ছ ও সহজ করার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সব নাগরিকের জন্য ডিজিটাল সেবা গ্রহণ, জ্ঞানভিত্তিক দক্ষ সমাজ গঠন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

প্রকল্পের আনুষঙ্গিক কাজের জন্য ২টি জিপ, ২টি মাইক্রোবাস, ২টি ডাবল কেবিন পিকআপ ক্রয়, ২৮ ধরনের পরামর্শক সেবা ক্রয়; কম্পিউটার এক্সেসরিজ এবং সফটওয়্যার সংগ্রহ, ১০২টি অফিস ইক্যুইপমেন্ট ও ৩ লাখ ৬১ হাজার ৭৮২টি ফার্নিচার সংগ্রহ করা হবে।

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ বলছে, সরকারের ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় উচ্চ প্রবৃদ্ধির জন্য প্রযুক্তিসমূহের উন্নয়ন, অবকাঠামো নির্মাণ, মানবসম্পদ উন্নয়ন, গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের সুবিধা লাভের জন্য নীতি ও কৌশল গ্রহণের সার্বিক নির্দেশনা রয়েছে।

এ ছাড়া ডিজিটাল অর্থনীতি বাস্তবায়ন ও মানবসম্পদ বিকাশের লক্ষ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আধুনিক আইসিটি ল্যাবে সজ্জিতকরণ; স্বচ্ছতা, সুশাসন ও জনগণের নিকট সেবা সরবরাহ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ত্বরান্বিত করা; আইসিটিভিত্তিক মানসম্পন্ন শিক্ষার প্রসার এবং তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন জনশক্তি বিনির্মাণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এ প্রকল্প সে লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে।

এ বিভাগের আরো খবর