মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় শিশু সন্তানকে নিয়ে বাবার দেশত্যাগের ঘটনায় দাদা টি আই এম নবীকে তলব করেছে হাইকোর্ট।
৭ ডিসেম্বর তাকে আদালতে হাজির হয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠিয়ে ফের জিডি করা এবং আদালত সম্পর্কে ফেসবুকে বিভিন্ন মন্তব্য করার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে দাদার দেশ ত্যাগের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।
এছাড়া আদালতের নির্দেশনা থাকার পরও শিশুর বাবা সানিউর টিআইএম নবীর বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না সেটি জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে আবেদনকারী ভারতীয় নাগরিক সাদিকা সাঈদের পাসপোর্টও ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ভারতীয় নাগরিক সাদিকা সাঈদের আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব নির্দেশনা দেয়।
এতে শিশুকে নিয়ে পলাতক বাবার পাসপোর্ট স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে আইনজীবীকে পলাতক বাবার অবস্থান জানাতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার কাজী মারুফুল আলম ও ব্যারিস্টার ফাইজা মেহরিন। অন্যদিকে আইনজীবী ছিলেন জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
ভারতীয় নাগরিক সাদিকা সাঈদ ও বাংলাদেশি নাগরিক সানিউর টি আই এম নবীর তিন বছরের শিশুসহ পলাতক বাবাকে হাজির করতে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার ও গুলশান থানার পুলিশকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
আদালতের নির্দেশনার পর পুলিশ প্রতিবেদন দিয়ে জানায় ১৬ নভেম্বর সকালে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে শিশুকে নিয়ে বাবা সানিউর টি আই এম নবী অস্ট্রেলিয়া চলে গেছেন।
দুই মাসের জন্য ওই শিশুকে ভারতীয় নাগরিক মা সাদিকা সাঈদের হেফাজতে রাখার জন্য ২৫ আগস্ট আদেশ দেয় হাইকোর্ট।
আদেশে বলা হয়, মা ও শিশু মানবাধিকার সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ফ্লাড) ব্যবস্থাপনায় থাকবে। তবে বাংলাদেশি বাবা সপ্তাহে তিন দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শিশুর সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন। এ দুই মাস সাদিকা সাঈদের পাসপোর্ট গুলশান থানায় জমা রাখতে বলা হয়। এ মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় শিশুকে নিয়ে দেশ ত্যাগ করে ধনাঢ্য বাবা। এ কারণে আদালত এসব নির্দেশনা দেয়।