যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার দায়ে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার বাসিন্দা আবুল হোসেনকে বিচারিক আদালতের দেয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়। রায়ে আবুল হোসেনের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন) গ্রহণ এবং আসামির আপিল খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
আদালতে আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম আশরাফুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুনর রশিদ ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমদ হিরো।
সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমদ হিরো রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ১৫ জুলাই বাসাইল উপজেলার সোনালিয়া গ্রামের আবুল হোসেন ব্যবসা করার কথা বলে তার স্ত্রী খোদেজা বেগমকে বাবার বাড়ি থেকে ১০ হাজার টাকা এনে দিতে বলেন।
খোদেজা বেগম স্বামীর কথা মতো তার বাবার বাড়ি করটিয়া কলেজ পাড়ায় যান এবং তার গরীব বাবার কাছ থেকে তিন হাজার টাকা সংগ্রহ করে এনে দেন। চাহিদা মোতাবেক টাকা না পাওয়ায় আবুল হোসেন ক্ষিপ্ত হন এবং তার দ্বিতীয় স্ত্রী জালানি বেগমকে সঙ্গে নিয়ে খোদেজাকে বেদম মারধর করেন। মারধরের একপর্যায়ে খোদেজা বেগমের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত খোদেজার চাচা শহিদুল ইসলাম শহিদ বাদী হয়ে বাসাইল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় আবুল হোসেন ও জালানি বেগমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার প্রায় ১৮ বছর পর বিচার শেষে ২০১৬ সালে ৯ মে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শরীফ উদ্দিন আহমেদ রায় দেন। রায়ে আবুল হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে জালানি বেগমকে খালাস দেয়া হয়।
এরপর ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের নথি) হাইকোর্টে আসে। আর আসামি আপিল ও জেল আপিল একসঙ্গে শুনানি করে মঙ্গলবার রায় দেয়া হয়।