বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শুধু প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিচ্ছেন না: গয়েশ্বর

  •    
  • ২৩ নভেম্বর, ২০২১ ১৬:১৮

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘দেশের ৯৯.৯৯ শতাংশ মানুষ খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসা চায়। শুধু প্রধানমন্ত্রী তাকে মুক্তি দিচ্ছেন না। তারা জনগণের ভোট ও আদালতকে তোয়াক্কা করে না। তার পেছনে নিশ্চয়ই কোনো শক্তি আছে। এর পরও স্বারষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।’

দেশের সব মানুষ খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসা চাইলেও শুধু প্রধানমন্ত্রী তাকে মুক্তি দিতে চান না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে মঙ্গলবার বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ জাতীয় দল আয়োজিত সভায় গয়েশ্বর বলেন, ‘দেশের ৯৯.৯৯ শতাংশ মানুষ খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসা চায়। শুধু প্রধানমন্ত্রী তাকে মুক্তি দিচ্ছেন না। তারা জনগণের ভোট ও আদালতকে তোয়াক্কা করেন না। তার পেছনে নিশ্চয়ই কোনো শক্তি আছে। এর পরও স্বারষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সবার লক্ষ্য এখন অভিন্ন। পথ আলাদা হতে পারে। আজকে আমাদের দেহ ও মনকে এনেস্থেসিয়া দিয়ে অবশ করে রাখা হয়েছে। সবাই বেগম জিয়ার মুক্তি চায়। তারা খালেদা জিয়াকে দ্বিধাহীনভাবে নেত্রী ভাবে। খালেদা জিয়া জাতির নেতা। তার প্রয়োজনীয়তা সবাই অনুভব করে।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘খালেদা জিয়ার আসল রোগ কী সেটি শেখ হাসিনা জানেন। কারণ তিনি খালেদা জিয়াকে সবচেয়ে বেশি ক্লোজড মনিটরিং করছেন। কারণ তিনি ভাবছেন, কখন দুর্ঘটনা ঘটবে আর তিনি সব বাধা পেরিয়ে যাবেন। তবে তাকে মাথায় রাখতে হবে যে, একটি দুর্ঘটনা ঘটার পরেরটা তিনি কীভাবে মোকাবিলা করবেন?

খালেদা জিয়ার পরিচিতি শুধু জিয়াউর রহমানের স্ত্রী নন, তিনি তার কর্ম দিয়ে দেশের জনগণের মাঝে নিজের অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন। তিনি গণতন্ত্রের সমর্থক বলে মনে করেন এই নেতা।

গয়েশ্বর বলেন, ‘একজন নোবেল প্রাইজের জন্য লবিং করছেন, কিন্তু খালেদা জিয়া তা করছেন না। গণতন্ত্রের জন্য নোবেল দেয়া হলে সেটি বেগম জিয়ার কাছে যাবে। আমরা যদি তাকে বাঁচাতে নাও পারি তারপরও তার কাছে নোবেল যাবে।’

তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম জিয়া ইস্যুতে দেশের মানুষ ঐকমত্য। আপনারা সবাই প্রস্তুত থাকুন। যখন, যেভাবে ডাক আসবে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। খালেদা জিয়ার অপর নাম গণতন্ত্র। সরকারের বেশি সময় নেই। তারা জনগণের কাছে অপকর্মের জন্য ক্ষমা চাইবে।

‘শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে সরকার টিকে থাকতে পারে না। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামলে তারা বাধা দিতে সাহস পাবেন না। ভয় শুধু মামলার। তবে এবার মামলাও আন্দোলন দমাতে পারবে না।’

আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদার সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, জাতীয় পার্টির (জাফর) আহসান হাবিব লিংকন, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, মুসলিম লীগের অ্যাডভোকেট জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান, এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, চাষী এনামুল হক, এনডিপির এম এ তাহের, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামানসহ অনেকে।

এ বিভাগের আরো খবর