বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর দাবিতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।
সে স্মারকলিপি গ্রহণ করে আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখবেন তিনি।
শারীরিক বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া। তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন জানিয়ে তাকে বিদেশ পাঠাতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে বিএনপি।
সচিবালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিএনপিপন্থী কয়েকজন আইনজীবী। তাদের মধ্যে রয়েছেন ফজলুর রহমান, এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবদিন, নিতাই রায় চৌধুরী, আহমেদ আজম খান, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, তৈমুর আলম খন্দকার, বদরুদ্দোজা চৌধুরী, রুহুল কুদ্দুস কাজল।
সাক্ষাতে খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর দাবিতে আইনমন্ত্রীর হাতে একটি স্মারকলিপি তুলে দেন তারা। স্মারকলিপি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত ও মতামতের জন্য আলোচনা ও সময়ের প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী।
আনিসুল বলেন, ‘আমি একটা কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, যখন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হয়, তখন কিন্তু উনার পরিবারের যে আবেদন, সেটা মানবিক দিক বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখেছেন। তখন কিন্তু কোনো দাবি তুলতে হয়নি; প্রধানমন্ত্রী নিজেই করেছেন।
‘সে ক্ষেত্রে মানবিকতার কমতি আমাদের নাই। আমরা মানবিকতা দেখাতে জানি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মানবিকতা দেখাতে জানেন।’
তিনি বলেন, ‘৪০১ ধারার আলোচনায় আমি এখন যেতে চাই না। আমাদের স্বাভাবিক, আইনে মতপার্থক্য থাকবে। আমারও আপনাদের সাথে আইনে মতপার্থক্য আছে। আপনারা যে ৪০১ ধারা, উপধারার কথা বলেছেন, সেখানে আপনারা বলেছেন, কোথাও বিদেশ যাওয়া যাবে না কথাটি বলা নাই। সেখানে বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে বলা না থাকলেও একটা কথা বলা আছে। সেটা হলো, শর্তযুক্ত বা শর্তমুক্ত।
‘সেখানে দুইটি শর্ত দেয়া হয়েছে। আমি সে আইনের দিকে যাব না। আপনারা যে স্মারকলিপি দিয়েছেন, সেটা আমি অবশ্যই পর্যালোচনা করব, তবে সিদ্ধান্ত ও মতামতের ব্যাপারে আলোচনার প্রয়োজন আছে; সেটা আমরা করব।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আজকে স্মারকলিপি নিলাম, কিন্তু আজকে যদি প্রিম্যাচিউরড কিছু বলি, সেটা সঠিক হবে না। আমাকে একটু সময় দিতে হবে। আমি এটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করব। কেউ জানে বেঁচে থাকুক বা জানে বেঁচে না থাকুক, সেটা আমাদের উদ্দেশ্য না। বেগম জিয়ার চিকিৎসা হচ্ছে, সেটা সকলেই জানেন।
‘তাই আমি এটা নিয়ে একটু আলাপ আলোচনা করি, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরে তারপর…এটার ফাইল আমার হাতে। আপনারা আসবেন বলে আমি ফাইলটি ডিসপোজ করি নাই। নিশ্চয়ই আমরা এই দিকটা দেখব। আমি আলাপ-আলোচনা করে গুরুত্ব দিয়ে যতটুকু সিদ্ধান্ত নেয়া যায়, আমরা সেভাবেই সিদ্ধান্ত নেব।’