বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাজাপুর হানাদার মুক্ত দিবস আজ

  •    
  • ২৩ নভেম্বর, ২০২১ ০৯:৩০

বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহআলম নান্নু বলেন, ওই যুদ্ধে আব্দুর রাজ্জাক ও হোসেন আলী নামের দুজন মুক্তি বাহিনীর সদস্য শহীদ হন। আহত হন কমপক্ষে ২০ জন।  সে দিনের যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর ৩ শতাধিক সদস্য অংশ নিয়েছিলেন।

ঝালকাঠির রাজাপুর থানা পাকিস্তানি হানাদারদের থেকে মুক্ত হয় ২৩ নভেম্বর। স্বাধীনতা সংগ্রাম চলাকালে ৯ নম্বর সেক্টরের বৃহত্তর বরিশালের রাজাপুরের আকাশে ওড়ে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা।

হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধের পর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানিরা। আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে শত্রুমুক্ত হয় রাজাপুর থানা, বন্ধ হয় গণহত্যা।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ঝালকাঠি জেলা ইউনিটের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা দুলাল সাহা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদকে জাঙ্গালিয়া নদীর পাড়ে গর্ত করে জীবন্ত মাটিচাপা দেয় হানাদাররা। দেশিয় দোসরদের সহায়তায় পাকবাহিনী সাধারণ জনগণকে ধরে এনে বধ্যভূমি সংলগ্ন খালের ঘাটে বেঁধে গুলি করে খালে ফেলে দেয়। মরদেহের গন্ধে ভারী হয়ে ওঠে রাজাপুরের বাতাস।’

১৯৭১ সালের ২২ নভেম্বর রাতে মুক্তিবাহিনী রাজাপুর থানা আক্রমণ করে। শুরু হয় সম্মুখযুদ্ধ। রাতভর যুদ্ধের পর ২৩ নভেম্বর ভোর ৪টার দিকে পাক হানাদার বাহিনী মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।’

বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহআলম নান্নু বলেন, ওই যুদ্ধে আব্দুর রাজ্জাক ও হোসেন আলী নামের দুজন মুক্তি বাহিনীর সদস্য শহীদ হন। আহত হন কমপক্ষে ২০ জন।

সে দিনের যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর ৩ শতাধিক সদস্য অংশ নিয়েছিলেন।

মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, শেখ মুজিবের ডাকে শুরু হওয়া সংগ্রাম চলাকালে রাজাপুর থানা কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন কেরামত আলী আজাদ।

মুক্তিযুদ্ধে সারা দেশকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়। রাজাপুর থানা ছিল বরিশাল সাব-সেক্টরের অধীনে। সাব-সেক্টরের দায়িত্ব পালন করেন তৎকালীন ক্যাপ্টেন শাহজাহান ওমর।

রাজাপুরের কানুদাসকাঠিতে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটি তৈরি করেন। রাজাপুর থানায় সম্মুখযুদ্ধ শুরু হলে শাহজাহান ওমর এ যুদ্ধে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হন।

মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য শাহজাহান ওমর ঝালকাঠি জেলায় একমাত্র বীরউত্তম খেতাবে ভূষিত হন।

২৩ নভেম্বর রাজাপুর থানা মুক্ত হওয়ার খবর পেয়ে আশপাশের মুক্তিকামী মানুষ ছুটে এসে থানা দখলে নেয়।

এ দিন ঝালকাঠি সদর, কাঠালিয়া এবং নলছিটি থানায় যুদ্ধ চলমান ছিল বলে ওইসব এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা স্ব স্ব অবস্থানে ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর