চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। তবে প্রতিবেদনে কী বলা হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।
দুই দফা সময় বাড়ানোর পর সোমবার বিকেলে কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়।
কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহেনা আক্তার নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সোমবার বিকেলে তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ায় মঙ্গলবার আমাদের একাডেমিক কমিটির মিটিং হবে। মিটিংয়ে ক্যাম্পাস খোলা ও অন্যান্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
প্রতিবেদনে কী বলা হয়েছে সে বিষয়ে অধ্যক্ষ বলেন, ‘একাডেমিক মিটিংয়েই প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা হবে। আমি এখনও খুলে দেখিনি। তাই কী আছে বলা যাচ্ছে না।’
প্রতিবেদনে কী আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একাডেমিক মিটিংয়েই প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা হবে। আমি এখনও খুলে দেখিনি, তাই কী আছে বলা যাচ্ছে না।’
গত ২৯ অক্টোবর রাতে ও ৩০ অক্টোবর সকালে চমেকে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী এবং নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীদের মধ্যে দুই দফায় সংঘর্ষ হয়।
৩০ অক্টোবর সকালের সংঘর্ষে আহত হন মাহাদী আকিব, মাহফুজুল হক ও নাইমুল ইসলামের তিনজন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে আকিব নওফেলের অনুসারী ও বাকি দুজন নাছির উদ্দীনের।
সংঘর্ষের জেরে ৩০ অক্টোবর সন্ধ্যায় ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ওই দিন সন্ধ্যাতেই শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে তদন্ত কমিটি করা হয়।
তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য সাত কার্যদিবস সময় দেয়া হয়। এরপর সময় আরও ১০ দিন বাড়িয়ে দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। রোববার ছিল প্রতিবেদন জমা দেয়ার দিন। তবে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাদের সাক্ষাৎ পাওয়া যাচ্ছে না এমন কারণ দেখিয়ে প্রতিবেদন জমার তারিখ বুধবার পর্যন্ত করা হয়।
সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচলাইশ ও চকবাজার থানায় পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা হয়। পাঁচলাইশ থানার মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।