চট্টগ্রাম নগরীতে মাইক্রোবাসসহ ছিনতাইকারীকে আটক করে প্রশংসায় ভাসছেন এক ট্রাফিক সার্জেন্ট। রাস্তার দুই পাশে দুটি গাড়ি থামিয়ে নিজে মাঝখানে দাঁড়িয়ে মাইক্রোবাসটি আটক করেন তিনি। একজন পালিয়ে গেলেও, তার সহযোগীকে থানায় হস্তান্তর করেন ওই ট্রাফিক পুলিশ।
নগরীর গণি বেকারি এলাকায় সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
ট্রাফিক সার্জেন্টের নাম ইমরান উজ জামান। নিউজবাংলাকে তিনি জানান, এক নারীর গলার চেন ছিনিয়ে মাইক্রোবাসে করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন তিন ছিনতাইকারী। কিন্তু গাড়িতে ওঠার আগেই একজনকে আটক করে ফেলেন স্থানীয়রা।
বাকি দুজন মাইক্রোবাস নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয়রা গাড়িটিকে ধাওয়া করে। বিষয়টি জানতে পেরে জিইসি মোড়ে দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক সার্জেন্টকে ওয়াকিটকির মাধ্যমে গাড়িটিকে থামানোর নির্দেশনা দেয় ট্রাফিক বিভাগ।
ওয়াকিটকির ওই বার্তা শুনতে পান সার্জেন্ট ইমরান। গাড়ির নম্বর টুকে প্রস্তুত থাকেন ওয়াসার মোড়ে।
ইমরান বলেন, ‘জিইসিতে দায়িত্বরত সার্জেন্টকে বলার সময় বিষয়টি খেয়াল করি। সে সময় গাড়ির নম্বর টুকে রাখি। চিন্তা করলাম, গাড়িটা কোনোভাবে জিইসি অতিক্রম করে এদিকে এলে আটকাতে হবে। কিছুক্ষণ পর খেয়াল করি দ্রুতগতিতে একটি মাইক্রোবাস এগিয়ে আসছে। নম্বর মিলিয়ে দেখি এটিই সেই গাড়ি। রাস্তার দুই পাশে দুটি গাড়ি থামিয়ে মাঝখানে দাঁড়িয়ে পড়ি।’
‘গাড়ি দুটির মাঝে কিছুটা জায়গা ছিল। মাইক্রোবাসটি সেই খালি জায়গা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। ব্যর্থ হয়ে গাড়ি থামাতে বাধ্য হন চালক। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থেকে নেমে একজন পালিয়ে যান। চালককে আটক করে চকবাজার থানায় হস্তান্তর করি। পরে তাকে কোতোয়ালি থানায় নেয়া হয়।’
আটক চালকের নাম মো. ইসমাইল। তার বাড়ি ঢাকার লালবাগ হলেও নগরীর ডবলমুরিং থানার সিডিএ-২৬ নম্বর এলাকায় বাস করেন তিনি।
আর গণি বেকারি এলাকায় স্থানীয়দের হাতে আটকের নাম মো. বিজয়। ১৮ বছরের তরুণের বাড়ি নগরীর হালিশহরের অ্যাক্সেস রোড এলাকায়।
কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুলব বিশ্বাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নগরীর গণি বেকারি এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনায় মাইক্রোবাসসহ চালককে আটক করেছে ট্রাফিক পুলিশ। এ ছাড়া ওই চক্রের আরেকজনকে ঘটনাস্থল থেকে পথচারীরা আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নারী।’