কুমিল্লা নগরীর সুজানগরের কার্যালয়ে সোমবার বিকেল ৪টার দিকে যান ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল। তার অফিসে ৮ থেকে ১০ জন সেবাপ্রত্যাশী ও অনুসারী অপেক্ষা করছিলেন।
নগরীর পাথুরিয়া পাড়া এলাকার যুবক সোহেল রানা। তিনি বলেন, ‘সোহেল কাকা কার্যালয়ে ঢোকার ৫ থেকে ১০ মিনিট পর সাতটি মোটরসাইকেলে করে দুবৃর্ত্তরা আসে। গুলি করতে করতে তারা অফিসে ঢোকে। প্রথমে সোহেল কাকার বুকে ও কোমড়ে গুলি করে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার মাথায়ও গুলি করা হয়। অফিসের যারা ছিলেন সবাইকে গুলি করে।’
ওই এলাকার বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। গোলাগুলির শব্দে ঘর থেকে বেরিয়ে আসি। দেখি কয়েকজন যুবক কাউন্সিলর সোহেলকে পাজকোলা করে হাসপাতালের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।’
নগরীর পাথুরিয়া পাড়া এলাকার বাসিন্দা জুয়েল মিয়া বলেন, ‘ওরা কাউন্সিলর সোহেল ভাইকে গুলি করে তার অফিসের সাঁটার বন্ধ করে দেয়। এরপর আবারও ফাঁকা গুলি করে এবং ককটেল বিস্ফোরণ করে আতঙ্ক ছাড়িয়ে নবগ্রামের দিকে চলে যায়।’
কুমিল্লার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল। ছবি:নিউজবাংলাসুজানগর এলাকার যুবক হাবিব বলেন, ‘সোহেল ভাইকে গুলি করার অন্তত আধঘণ্টা পর তার অফিসের সাঁটার খুলে তাকে উদ্ধার করা হয়।’
ঘটনাস্থলে ঘুরে দেখা যায়, কাউন্সিলরের অফিসে ছোপ ছোপ রক্ত। চেয়ার ও টেবিলগুলো ভাঙা। সোহেল যে চেয়ারে বসে কাজ করতেন সেখানে রক্তের কালো দাগ। কার্যালয়ে সামনে পড়েছিল গুলির খোসা।
গুলিবিদ্ধ চারজন কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা হলেন পাথুরীয়াপাড়ার মো. রিজু ও মো. জুয়েল এবং সুজানগর এলাকার সোহেল চৌধুরী ও মাজেদুল। তাদের সবার পায়ে গুলি লেগেছে।
হাসপাতালের পরিচালক মো. মহিউদ্দিন বলেন, চার জনই আশঙ্কামুক্ত।
এ ঘটনায় পুরো নগরজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সুজানগর এলাকা ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জড়িতদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি।’