বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুবাইয়ে পাচার নারীদের দেহ ব্যবসায় বাধ্য করে চক্রটি

  •    
  • ২২ নভেম্বর, ২০২১ ২১:১৬

মানব পাচারকারী চক্রের অন্যতম হোতা মোহাম্মদ শামসুদ্দীনকে রাজধানীর পল্টন থেকে গ্রেপ্তারের পর চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য বেরিয়ে এসেছে। পরে তার দেয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে রাজধানীর উত্তরা থেকে পাচার হতে যাওয়া এক নারী ও ৩ পুরুষকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব।

বিনা খরচে বিদেশ পাঠানোসহ আকর্ষণীয় বেতনে বিভিন্ন পেশায় চাকরির প্রলোভন দেখানো হতো নারীদের। শুধু তাই নয়, কোনো কোনো নারীকে নগদ অর্থও দেয়া হতো। পরে করোনা টেস্ট, ইমিগ্রেশনসহ সব কাজ করে দিত চক্রের সদস্যরা। এভাবে কোনোক্রমে দুবাই পাঠিয়েই জিম্মি করে ওইসব নারীকে দেহ ব্যবসার মতো নানা অনৈতিক কাজে বাধ্য করা হতো।

তবে বিদেশ যেতে ইচ্ছুক পুরুষদের প্রত্যেকের কাছ থেকে তিন থেকে চার লাখ টাকা নিত চক্রটি। এই চক্রের মূল হোতা মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি। তিনি দুবাই বসে পুরো সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছেন।

সোমবার মানব পাচারকারী চক্রের অন্যতম হোতা মোহাম্মদ শামসুদ্দীনকে রাজধানীর পল্টন এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে। পরে তার দেয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে রাজধানীর উত্তরা থেকে পাচার হতে যাওয়া এক নারী ও ৩ পুরুষকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব।

সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজার মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, ‘মানব পাচারকারী চক্রের টার্গেট দরিদ্র মানুষ। পাচারকারীরা বিদেশে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সহজ সরল মানুষকে ফাঁদে ফেলে নিয়ে যাচ্ছে অন্ধকার জগতে। পাচারকারীদের প্রলোভনের ফাঁদে পা দিয়ে অবৈধ পথে বিদেশ পাড়ি দিতে গিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন অনেক মানুষ। এদের অধিকাংশই নারী।’

মোমেন জানান, এসব নারীকে বিদেশে আকর্ষণীয় বিভিন্ন পেশায় চাকরির কথা বলা হলেও তাদের আসলে বিক্রি করে দেয়া হয় এবং জোরপূর্বক সম্পৃক্ত করা হয় ডিজে পার্টি, দেহ ব্যবসাসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজে।

জিয়ার নিয়ন্ত্রিত চক্রটি দুবাই, সিঙ্গাপুর এবং ভারতে নারী এবং পুরুষদের পাচার করে আসছে। এখন পর্যন্ত প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষকে তারা পাচার করেছে।

আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, ‘চক্রের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিদেশ যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে শেষ সময়ে যদি কেউ অপারগতা প্রকাশ করে তবে তাদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করা হয়। টাকা দেয়া সম্ভব না হলে অনেকে বাধ্য হয়েই তাদের কথামতো বিদেশের পথে পাড়ি জমায়।’

শামসুদ্দীনকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা গেছে, বর্তমানে দুবাই অবস্থান করছেন চক্রের মূল হোতা ৩৭ বছর বয়সী মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন। তার বাড়ি ফেনীতে। জিয়ার সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের যোগসাজশের প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন কোম্পানি ও গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এই প্রতারক চক্র নারীদের বিদেশ গমনে প্রলুব্ধ করে।

এ বিভাগের আরো খবর