বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিজেপিশাসিত রাজ্যে গণতন্ত্রের কঙ্কাল বেরিয়ে পড়েছে: মমতা

  •    
  • ২২ নভেম্বর, ২০২১ ২১:০৩

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, ‘বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলোতে গণতন্ত্রের কঙ্কাল বেরিয়ে পড়েছে। অত্যাচারের পর অত্যাচার চলছে। বিজেপিশাসিত রাজ্যে ভোট হয় না। ত্রিপুরাতে যা হচ্ছে, সবাই দেখছে। এখন মানবাধিকার কমিশন কোথায় গেল?’

ভারতের ত্রিপুরায় তৃণমূলের যুব সভাপতি সায়নী ঘোষের গ্রেপ্তারের ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলোতে গণতন্ত্রের কঙ্কাল বেরিয়ে পড়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

সোমবার চার দিনের সফরে দিল্লি যাওয়ার আগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলোতে গণতন্ত্রের কঙ্কাল বেরিয়ে পড়েছে। অত্যাচারের পর অত্যাচার চলছে। বিজেপিশাসিত রাজ্যে ভোট হয় না। ত্রিপুরাতে যা হচ্ছে, সবাই দেখছে। এখন মানবাধিকার কমিশন কোথায় গেল?’

দলের যুব সভাপতি সায়নীর গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘সায়নীর সঙ্গে কথা হয়েছে আমার। আমাদের এখানে তো ওদের অনেক নেতা এসেছে। আমরা তো বাধা দিইনি। এখানে কত কিছু ব্যবহার করা হয়েছিল।’

মমতা বলেন, ‘এবার ত্রিপুরা ইস্যু নিয়ে কথা বলব। কেন্দ্র ক্ষমতা দখল করতে চাইছে কিন্তু আমি তা হতে দেব না। সায়নীর মতো শিল্পীকেও ছাড়ল না। থানাতেও হামলা চালিয়েছে বিজেপি।’

এবারের দিল্লি সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। মোদির সঙ্গে সাক্ষাতে বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে সরব হবেন বলে জানান তিনি।

বিএসএফ ইস্যুতে তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিএসএফ আমাদের বন্ধু। তবে গণতান্ত্রিক কাঠামো নষ্ট করে রাজ্যে বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধি মেনে নেয়া যায় না। বিএসএফ তো বিজেপি সেফ হয়ে যাচ্ছে।’

এদিকে ত্রিপুরা পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ জানাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সময় চেয়ে পায়নি তৃণমূল। এ কারণে সংসদীয় দলের সদস্যরা স্বরাষ্ট্র দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। পরে অমিত শাহ তৃণমূল প্রতিনিধিদলকে সময় দিলে আধঘণ্টার বৈঠক হয় ।

বৈঠক শেষে তৃণমূল প্রতিনিধিদলের সদস্য বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘অমিত শাহ কথা দিয়েছেন, ত্রিপুরায় আর সন্ত্রাস হবে না।’

সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আমরা স্মারকলিপি জমা দিয়েছি। সায়নী ঘোষের কথা জানিয়েছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আপনাদের কথা শুনলাম। এবার রাজ্য সরকারের বক্তব্য শুনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।’

২৫ নভেম্বর ত্রিপুরায় পৌরসভা ভোট। শাসক দল বিজেপির হাতে আক্রান্ত হয়ে ত্রিপুরার সন্ত্রাসের পরিস্থিতি নিয়ে শীর্ষ আদালতে মামলা করে তৃণমূল।

শীর্ষ আদালত মামলার রায়ে বিরোধী দলগুলোর প্রচারে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয়।

সোমবার তৃণমূল কংগ্রেস ত্রিপুরায় বিজেপির হামলার কারণে শীর্ষ আদালতের রায় অমান্য করার মামলা করেছে। আদালত মামলা গ্রহণ করেছে। মঙ্গলবার শুনানি হবে।

এ প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘মাথায় দুটো ইট পড়েছে, তাতে সুপ্রিম কোর্টে ছুটছে। আর দুটো ইট পড়লে তো রাষ্ট্রপুঞ্জে যাবে।’

অন্যদিকে সোমবার ত্রিপুরায় সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বহুদিন রাজনৈতিক ময়দানে রয়েছি। লড়াই করছি। এমন অবস্থা দেখিনি। এখানে বের হতে দেয়া হয় না। মিটিংয়ের অনুমতি দেয়া হয় না। যে রাজ্যে সংবাদমাধ্যম আক্রান্ত, চিকিৎসক আক্রান্ত, যেখানে দুয়ারে গুন্ডা মডেল ঢুকে যাচ্ছে, থানায় পুলিশ আক্রান্ত। যারা আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে তাদের যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?’

এ বিভাগের আরো খবর