জামালপুরের ছেলে রবিউল হাসান রুমান। ময়মনসিংহের রুমডো ইন্সটিটিউট অব মডার্ন টেকনোলজি থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা শেষ করে ফ্রিল্যান্সিং করছিলেন।
কাজের স্বার্থে ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে চেয়েছিলেন রুমান। খুঁজছিলেন এমন কাউকে যিনি তাকে এ কাজে সহায়তা করবেন।
২০১৯ সালের শুরুতে ফেসবুকে পরিচয় হয় প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার কিলোমিটারের দূরের মেক্সিকান তরুণী গ্লাডিস নাইলি টরিবিও মরালেসের সঙ্গে। রুমানকে ইংরেজি শেখাতে শুরু করেন গ্লাডিস। কিছুদিন না যেতেই সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে।
দুই বছরের সম্পর্কের পরিণতি দিতে গত রোববার বাংলাদেশে ছুটে আসেন গ্লাডিস। তাকে স্বাগত জানান রুমান ও তার পরিবার। বিমানবন্দর থেকেই ছোটেন ঢাকা জজ আদালতে। গ্রহণ করেন ইসলাম ধর্ম। সেখানেই বিয়ে হয় তাদের। মধ্যরাতে সরিষাবাড়ীর পোগলদিঘা গ্রামে পৌঁছান নয়া দম্পতি।
সোমবার দুপুরে রুমানের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, নববধূকে এক নজর দেখতে স্থানীয়দের উপচে পড়া ভিড়।
রবিউল হাসান রুমান বলেন, ‘ইসলাম গ্রহণের পর গ্লাডিসের নাম রাখা হয়েছে লাইলী আক্তার। করোনা মহামারির জন্য তার আসতে দেরি হয়েছে। ভালোবাসার মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়ে ভীষণ আনন্দিত।’
মেক্সিকোর একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৬ সালে স্নাতক শেষ করেন লাইলী আক্তার। তার বাবা একজন ব্যবসায়ী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আসতে কোনো ভয় বা সমস্যা হয়নি। করোনা নিয়ে কিছুটা উৎকণ্ঠায় ছিলাম। তবে ভালোবাসার মানুষকে কাছে পেয়ে তা দূর হয়ে গেছে।
রুমানকে নিয়ে শিগগিরই মেক্সিকোতে থিতু হওয়ার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন নববধূ।