বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এবার লোবুচে শৃঙ্গ জিতলেন নিশাত

  •    
  • ২২ নভেম্বর, ২০২১ ২০:০৬

লোবুচে জয় করার সংকল্প নিয়ে গত ৭ নভেম্বর নেপালের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন নিশাত। ২১ নভেম্বর নেপালের স্থানীয় সময় ভোর ৬টায় পর্বতশৃঙ্গটি জয় করেন তিনি।

প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্ট জয় করা নিশাত মজুমদার এবার পা রাখলেন লোবুচে পর্বতের চূড়ায়।

২১ নভেম্বর নেপালের স্থানীয় সময় ভোর ৬টার সময় তিনি এই লোবুচে পূর্ব পর্বতশৃঙ্গটি জয় করেন। উড়িয়েছেন লাল-সবুজ পতাকা।

বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন সংগঠন অভিযাত্রীর সমন্বয়ক মির্জা জাকারিয়া বেগ।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘লোবুচে জয় করার সংকল্প নিয়ে গত ৭ নভেম্বর নেপালের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন নিশাত। ২১ নভেম্বর নেপালের স্থানীয় সময় ভোর ৬টায় পর্বতশৃঙ্গটি জয় করেন তিনি।’

আগামী ২৮ নভেম্বর নিশাত মজুমদার দেশে ফিরবেন বলেও জানিয়েছেন তার বন্ধু মির্জা জাকারিয়া।

নেপালের লোবুচে পর্বতের উচ্চতা ৬ হাজার ১১৯ মিটার বা ২০ হাজার ৭৫ ফুট। তবে কদিনের চেষ্টায় এই পর্বত আরোহণ করেছেন নিশাত, সে বিষয়ে এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি।

এর আগে ২০১২ সালের ১৯ মে প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্ট জয় করেন নিশাত মজুমদার। তার সঙ্গে ছিলেন আরেক এভারেস্টজয়ী এম এ মুহিত, যিনি এর আগেও একবার এভারেস্ট জয় করেছিলেন।

বাবা আবদুল মান্নান মজুমদার ও মা আশুরা মজুমদারের চার সন্তানের মধ্যে নিশাত দ্বিতীয়। তার জন্ম ১৯৮১ সালে লক্ষ্মীপুরে। নিশাত মজুমদার ফার্মগেটের বটমূলী হোম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, শহীদ আনোয়ার গার্লস কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক এবং ঢাকা সিটি কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন।

এভারেস্ট বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তিতে ২০০৩ সালে বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে ৩ হাজার ১৭২ ফুট উচ্চতার কেওক্রাডং জয় করেন নিশাত।

২০০৬ সালের মার্চে বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ মাউন্টেনিয়ারিং ও ট্রেকিং ক্লাবের (বিএমটিসি) আয়োজনে বাংলাদেশের নারী অভিযাত্রী দলের সঙ্গে আবারও আরোহণ করেন কেওক্রাডং চূড়া।

ওই বছরের সেপ্টেম্বরে বিএমটিসি আয়োজিত নারী অভিযাত্রী দলের সঙ্গে তিনি এভারেস্ট বেস ক্যাম্প (১৭ হাজার ৫০০ ফুট উচ্চতা) ট্রেকিংয়ে অংশ নেন।

এরপর ২০০৭ সালের মেতে ভারতের দার্জিলিংয়ের হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে মৌলিক পর্বতারোহণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেন তিনি। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে নিশাত জয় করেন হিমালয়ের মেরা পর্বতশৃঙ্গ। যার উচ্চতা ছিল ২১ হাজার ৮৩০ ফুট।

নিশাতের আগে বাংলাদেশের আরও চার পর্বতারোহী লোবুচে জয় করেন। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ মাউন্টেনিয়ারিং ও ট্রেকিং ক্লাবের হয়ে এভারেস্টজয়ী পর্বতারোহী এম এ মুহিতসহ তিন আরোহী এই পর্বতশৃঙ্গ জয় করেন।

এ বছরের ১ নভেম্বর দেশের প্রথম নারী হিসেবে এই পর্বত আরোহণ করেন পর্বতারোহী জয়নাব বিনতে হোসেন শান্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্স-মাস্টার্স শেষে জয়নাব এখন শিক্ষক। সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

লোবুচে পর্বতের দুটি শৃঙ্গ। একটির নাম লোবুচে পশ্চিম এবং অপরটি লোবুচে পূর্ব। ট্রেকারদের মতে লোবুচে পশ্চিম জয় করা খুব কষ্টসাধ্য। তাই লোবুচে পূর্ব শৃঙ্গটি আরোহণ করেন বেশির ভাগ অভিযাত্রিক।

লোবুচে চূড়া আরোহণে এভারেস্ট শৃঙ্গের পথ ধরেই এগিয়ে যেতে হয়। তারপর লুকলা হয়ে ১১ হাজার ৫০০ ফুট উচ্চতার নামছেতে অবস্থান। সেখান থেকেই মূল অভিযান শুরু হবে। ইয়ান টেইলর ট্রেকিং ডটকম বলছে, ৫ হাজার ৪৫ মিটার উচ্চতায় লোবুচের মূল বেস ক্যাম্প। সেখান থেকে আরও ৬৫৫ মিটার এগিয়ে গেলে হাই ক্যাম্প। তারপর মূল ট্রেকিং শুরু। আরও ৫১৯ মিটার এগিয়ে গেলেই লোবুচে শৃঙ্গ।

এ বিভাগের আরো খবর