বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিরামের টিকা এবার আসছে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে

  •    
  • ২২ নভেম্বর, ২০২১ ১৯:২৩

কোভ্যাক্সের আওতায় মঙ্গলবার থেকে সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত করোনাভাইরাস প্রতিরোধী কোভিশিল্ড টিকার ৫০ লাখ ডোজ বাংলাদেশসহ ৪টি দেশে পাঠানো শুরু হবে। এই দফায় টিকা পাবার তালিকায় থাকা অন্য ৩টি দেশ হচ্ছে নেপাল, তাজিকিস্তান ও মোজাম্বিক।

ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত করোনাভাইরাস প্রতিরোধী কোভিশিল্ড টিকা এবার বাংলাদেশে আসছে ন্যাযতার ভিত্তিতে বিশ্বজুড়ে করোনার টিকা বিতরণে গড়ে ওঠা জোট কোভ্যাক্সের আওতায়।

মঙ্গলবার থেকে সিরামের ৫০ লাখ ডোজ বাংলাদেশসহ ৪টি দেশে পাঠানো শুরু হবে।

বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের আওতায় প্রথম কোভিশিল্ড টিকা ২৩ নভেম্বর থেকে পাঠানো শুরু করবে সিরাম।

এই দফায় টিকা পাবার তালিকায় থাকা অন্য ৩টি দেশ হচ্ছে নেপাল, তাজিকিস্তান ও মোজাম্বিক।

বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট নিজ দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষণালব্ধ টিকা উৎপাদন করছে কোভিশিল্ড নামে।

ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট নিজ দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষণালব্ধ টিকা উৎপাদন করছে কোভিশিল্ড নামে।

বাংলাদেশ সিরামের ৩ কোটি ৪০ লাখ টিকা কিনতে চুক্তি করেছে। তবে গত ফেব্রুয়ারি ও মার্চে ৭০ লাখ টিকা পাঠানোর পর আর পাঠাতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে টিকা রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়।

এই টিকা কেনায় মধ্যস্থতাকারী বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি বাকি ২ কোটি ৭০ লাখ টিকা কবে আসবে।

নেপাল আগামী ২৪ নভেম্বর কোভিশিল্ডের প্রথম চালান পাবে বলে জানা গেছে।

অক্টোবরের শুরুতে সিরামকে ‘ভ্যাকসিন মৈত্রী’ প্রোগ্রামের আওতায় বাংলাদেশ, নেপাল ও মিয়ানমারে ১০ লাখ ডোজ করে কোভিশিল্ড রপ্তানির অনুমতি দেয় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।

সিরামের পরিচালক প্রকাশ কুমার সিং সম্প্রতি দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে যে, বর্তমানে ২৪ কোটি ৮৯ লাখ ১৫ হাজার ডোজ কোভিশিল্ড টিকা মজুত আছে তাদের এবং দিন দিন এই মজুতের পরিমাণ বাড়ছে।

মন্ত্রণালয়কে তিনি বলেন, ‘দেশে এবং বিশ্বব্যাপী সরবরাহের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে, আমাদের উত্পাদন, কোল্ড চেইন, স্পেস ব্যবস্থা এবং মানবসম্পদের বিষয়ে আগে থেকেই পরিকল্পনা করতে হবে।’

দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকা দিয়ে গণটিকা কার্যক্রম শুরু করেছিল সরকার। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা ৩ কোটি ৪০ লাখ ডোজের মধ্যে বাংলাদেশ পায় মাত্র ৭০ লাখ টিকা। এর পাশাপাশি ভারত সরকার বাংলাদেশকে উপহার দেয় ৩৩ লাখ টিকা। যা দিয়ে টিকা কার্যক্রম শুরু করলেও সিরাম বাংলাদেশকে আর টিকা না দিলে টিকাদান বন্ধ হয়ে যায়।

গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। আর গণটিকা শুরু হয় ৭ ফেব্রুয়ারি। প্রতি মাসে ভারত থেকে আসার কথা ছিল ৫০ লাখ করে। এ ছাড়া বিশ্বজুড়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে টিকা বিতরণে গড়ে ওঠা জোট কোভ্যাক্স থেকে পাওয়ার কথা ছিল সাত কোটির বেশি টিকা।

তবে ভারতে করোনার নতুন ধরনের ব্যাপক বিস্তারে সব পরিকল্পনা ভণ্ডুল হয়ে যায়।

সিরামের সঙ্গে বেক্সিমকোর মাধ্যমে হওয়া চুক্তিতে প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসার কথা থাকলেও সবশেষ ২২ ফেব্রুয়ারি টিকার চালান আসে ২০ লাখ ডোজ।

অভ্যন্তরীণ চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় টিকা সংকটের কারণ দেখিয়ে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট ৩০ লাখ ডোজ কম পাঠায়। তবে ২৫ জানুয়ারি প্রথম চালানে পুরো ৫০ লাখ টিকা পাঠায় সিরাম।

এ বিভাগের আরো খবর