বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

২৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে জাপান

  •    
  • ২২ নভেম্বর, ২০২১ ১৯:০০

ইআরডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঋণের অর্থ মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, ৩১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মেট্রোরেল লাইন-১ (পাতাল রেল) নির্মাণ ও করোনা মহামারি মোকাবিলায় দেশের জনগণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ব্যয় করা হবে।

পাতাল রেল নির্মাণ, বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন ও করোনা মহামরি প্রতিরোধে বাজেট সহায়তাসহ বাংলাদেশকে ২৬৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঋণ দিচ্ছে জাপান। বর্তমান বিনিময়হার অনুযায়ী এর পরিমাণ প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা।

সোমবার বাংলাদেশ সরকার ও জাপানের মধ্যে এ সংক্রান্ত ঋণ চুক্তি সই হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মিজ ফাতিমা ইয়াসমিন ও জাপান সরকারের পক্ষে বাংলাদেশের জাইকা অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টটিভ মি. ইয়াহো হাওয়া কাওয়া চুক্তিতে সই করেন।

এ সময় ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম ‍মুস্তফা কামাল ও বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত মি. ইতো নাওকি।

ইআরডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই অর্থ মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, ৩১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মেট্রোরেল লাইন-১ (পাতাল রেল) নির্মাণ ও করোনা মহামারি মোকাবিলায় দেশের জনগণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ব্যয় করা হবে।

কম সুদে ও সহজশর্তে এই ঋণ দিচ্ছে জাপান। ঋণের সুদ হার শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ, পরামর্শক ফি শূন্য দশমিক এক শতাংশ এবং এককালীন ফি শূন্য দশমিক ২ শতাংশ।

দশ বছর গ্রেস পিরিয়িডসহ ৩০ বছরে এই ঋণ পরিশোধযোগ্য। বাজেটে সহায়তা বাবদ যে ঋণ পাওয়া যাবে, এর সুদ হার শূন্য দশমিক ৫৫ শতাংশ।

চুক্তি স্বাক্ষর শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম ‍মুস্তফা কামাল বলেন, ‘জাপান বাংলাদেশের পরীক্ষিত ও অকৃত্রিম বন্ধু দেশ। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৩ সালের ঐতিহাসিক জাপান সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপিত হয়। এটি ছিল অংশীদারত্বের সূচনা, যা দিনে দিনে শক্তিশালী হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সড়ক ও যমুনা নদীর উপর রেল সেতু, ঢাকা শহরের মেট্রোরেল নেটওয়ার্ক, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৃতীয় টার্মিনাল, মাতারবাড়ী পাওয়ার প্লান্ট ও মাতারবাড়ী সমুদ্র বন্দরসহ চলমান বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পে জাপান সরকারের সম্পৃক্ততার জন্য দেশটি আমাদের কাছ থেকে কৃতজ্ঞতার দাবিদার।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারির শুরুতে জাপান বাজেট সহায়তা দেয়ার ফলে খুবই দ্রুতই ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া গেছে। এক্ষেত্রে নতুন করে সহায়তা পাওয়ার বিষয়ে যে ঋণ চুক্তি সই হয়েছে তাতে করোনা সংক্রমণ রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’

ইআরডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, করোনা রোধে গত বছর বাংলাদেশকে ৩ কোটি ২০ লাখ ডলার দিয়েছে জাপান। কোভিড-১৯ ক্রাইসিস রেসপন্স ইমাজেন্সি সাপোর্ট লোন ফেজ-২ প্রকল্পের আওতায় নতুন করে আরও ৩ কোটি ৬৫ লাখ ডলার দিতে রাজি হয়েছে দেশটি।

দ্বি-পাক্ষিক পর্যায়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী দেশ জাপান। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত জাপান সরকার বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে বিভিন্ন খাতে উল্লেখযোগ্য সহায়তা প্রদান করেছে।

অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে জাপান এ বছরের জুন পর্যন্ত সাত বিলিয়ন ডলার প্রদান দিয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর