খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে মন্তব্য করে বিএনপি নেতারা ডাক্তারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সচিবালয়ে সোমবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে মির্জা আলমগীর সাহেব, রিজভি সাহেব, খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাহেবসহ সব বিএনপি নেতারাই এখন ডাক্তার হয়ে গেছেন। আ স ম রব সাহেবও বড় ডাক্তার এখন, মান্না সাহেবও ডাক্তার। তারা এখন ডাক্তারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।
‘তারা বলছেন, খালেদা জিয়ার জীবন সংকটাপন্ন। এভারকেয়ার হাসপাতালের কোনো বিশেষজ্ঞ অবশ্য কিছু বলেননি। বিএনপির ডাক্তার যারা রাজনীতি করেন তারা কিছু কিছু সময় বলেছেন।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আসলে বেগম জিয়া আগেও অসুস্থ ছিলেন এবং আমাদের দেশেই তার চিকিৎসা হয়েছে। তখনও বিএনপি ধুয়া তুলেছিল বেগম জিয়াকে অবশ্যই বিদেশ পাঠাতে হবে। না পাঠালে তাকে বাঁচানো যাবে না। বাস্তবতা হচ্ছে, আমাদের দেশেই চিকিৎসা নিয়ে ভালো হয়ে তিনি বাড়িতে ফিরেছিলেন।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তখনকার মতো এবারও বিএনপি নেতারা একই ধুয়া তুলছে। আসলে বেগম জিয়াকে বিদেশ নেয়ার দাবি স্বাস্থ্যগত নয়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। তারা বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে রাজনীতিটা করছেন। তাকে নিয়ে রাজনীতি করা এটা অনভিপ্রেত’।
হাছান মাহমুদ অভিযোগ করে বলেন, ‘আসলে ওনারা হয়তো চান না বেগম জিয়া সুস্থ হোক। কারণ তিনি সুস্থ হয়ে গেলে তার স্বাস্থ্য নিয়ে যে রাজনীতি সেটি বন্ধ হয়ে যাবে। তাদের দাবিটাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। একজন দণ্ডপ্রাপ্ত, সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে বিদেশ পাঠানোর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে যে দাবি সেটি তো সরকার মানতে পারে না। তিনি একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।’
তিনি বলেন, ‘অবশ্যই বেগম জিয়ার সর্বোচ্চ চিকিৎসা যাতে তিনি পান সেটি সরকার নিশ্চিত করতে বদ্ধ পরিকর। বেগম জিয়ার কী হয়েছে সেটির জন্য বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালের চিকিৎসক, দেশের শীর্ষ চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড হতে পারে, তারা পরামর্শ দিতে পারে।’
এ সময় বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের হুমকির সমালোচনা করেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পার্লামেন্টে তারা সব মিলিয়ে ছয়জন এমপি আছেন। তাদের কাছে মনে হচ্ছে দেশের আর কোনো সমস্যা নিয়ে তারা চিন্তিত না। দেশে আর কোনো সমস্যা নেই। একমাত্র বেগম জিয়ার স্বাস্থ্যটাই সমস্যা। এটা নিয়েই তারা শুধু ব্যস্ত আছেন।
‘বিএনপি এর আগেও এরকম দাবি জানিয়েছে। কখনও কখনও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। এবারও যদি এ ধরনের অপচেষ্টা চালানোর চেষ্টা করা হয়, জনগণ সেটি কঠোর হস্তে প্রতিহত করবে। সরকার তাদের পাশে থাকবে।’