বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১০ দিনে দেড় কোটি টিকা দেবে সরকার

  •    
  • ২২ নভেম্বর, ২০২১ ১৮:০৩

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে তিনটি বড় ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রম হবে। এতে দেড় কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে। দিনে দিনে টিকা কার্যক্রম সহজ হচ্ছে। এ ছাড়া কেন্দ্রগুলোতে টিকা নিতে তেমন ভিড় দেখা যায় না।

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে দেড় কোটি টিকা দিতে চায় সরকার। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের আয়োজনে সোমবার দুপুরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সরকারের এই পরিকল্পনার কথা জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে তিনটি বড় ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রম হবে। এতে দেড় কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে। দিনে দিনে টিকা কার্যক্রম সহজ হচ্ছে। এ ছাড়া কেন্দ্রগুলোতে টিকা নিতে তেমন ভিড় দেখা যায় না।

সবাইকে টিকার নেয়ার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, এখন খুব সহজে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। শুধু এনআইডি কার্ড দিয়ে নিবন্ধন করলেই ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। বিশেষ টিকাদান কর্মসূচিতে শুধু এনআইডি কার্ড নিয়ে আসলেই হবে।

করোনা প্রতিরোধে চিকিৎসকদের আগামী দিনের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘এটি এমন একটি রোগ, যা আজকে ভালো হয়, কালকে আবার খারাপ হয়। ইউরোপ-আমেরিকায় এখন খারাপের দিকে যাচ্ছে। আমরা আমাদের দেশকে ভালো রাখতে চাই। সেই জন্য আপনাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ও টেকনোলজিস্টসহ আরও ২০ হাজার লোক নিয়োগ দেওয়া হবে। স্বাস্থ্যে আমার সময়ে যে নিয়োগ হয়েছে, দেশের ইতিহাসে এত নিয়োগ হয়নি। সবচেয়ে বেশি নার্স, চিকিৎসক আমার সময়ে হয়েছে, সবচেয়ে বেশি পদোন্নতি আমার সময়ে হয়েছে। যদি প্রমাণ চান, তাহলে পরিসংখ্যান দেখুন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘১৫ হাজার চিকিৎসক, ২০ হাজার নার্স একবারে নিয়োগ হয়েছে, এই ইতিহাস স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আর নেই। স্বাস্থ্যে আরও নতুন নিয়োগ আসছে। ৪ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আছে, নতুন করে আরও ৮ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মাঝে মাঝে অনেক সমালোচনার মুখে পড়ি। করোনা নিয়ন্ত্রণে এলে আপনারা বলেন, আল্লাহ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে রাখছে। আর করোনা বেড়ে গেলে বলেন সব দোষ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক মো. বিল্লাল আলম। সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, মহাসচিব এম এ আজিজসহ আরও অনেকে।

এ বিভাগের আরো খবর