নাটোরে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা বিএনপির ১১ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয় ও শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে সোমবার দুপুরে তাদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের চারজন হলেন জেলা যুবদলের সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম, বড়াইগ্রাম উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শামসুল হক রনি, জেলা বিএনপি অফিসের অফিস সহকারী আসলাম উদ্দিন এবং বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর বাড়ির কেয়ারটেকার আইনুদ্দিন টুকু। অন্যদের পরিচয় জানায়নি পুলিশ।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) লিটন কুমার সাহা।
তিনি জানান, শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপির ওই নেতাকর্মীদের আটক করা হয়েছে। আলাইপুরের জেলা বিএনপি কার্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশ।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে শহরের আলাইপুরে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে এবং তার মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ সমাবেশে দলীয় নেয়াতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ জানায়, এ সময় পুলিশ ও সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
এসপি লিটন সুমার সাহা জানান, বিএনপি নেতা দুলুর স্ত্রী ছাবিনা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে দলীয় নেতা-কর্মীরা বিএনপির জেলা কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের প্রস্তুতি নেয়। পুলিশ তাদের শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করতে বললেও তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
এরপর পুলিশ তাদের শান্ত করতে লাঠিচার্জ করে। এ সময় বিএনপি কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল ছোড়া শুরু করে। এতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনছুর রহমান মাথায় ইটের আঘাত পেয়ে আহত হন। এ ছাড়া সাতজন সাংবাদিকসহ আরও ১৯ জন আহত হন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আহত দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি শহিদুল হক সরকারকে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
তবে এ বিষয়ে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর অভিযোগ, পুলিশ বিনা উসকানিতে তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে লাঠিচার্জ করেছে। এতে সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।