পাবনার সুজানগরের আমিনপুর ইউনিয়নে সদ্য বিজয়ী চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
রতনগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে রোববার পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সোমবার বিষয়টি জানাজানি হয়।
ওই কিশোর সাগরকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। তার পরীক্ষার কেন্দ্র রতনগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে, বাড়ি সিন্দুরী বরুনিয়া গ্রামে। সে ১১ নভেম্বরের ইউপি নির্বাচনে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈয়ব শেখের ভাগনে।
তৈয়ব শেখ বলেন, ‘আমি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগ নেতা ও সদ্য বিজয়ী চেয়ারম্যান শাহীন চৌধুরী আমার ও আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর নির্যাতন করে আসছে। জয়ী হওয়ার পর তিনি আরও নির্মম ও নিষ্ঠুর হয়ে উঠেছেন। ভোটের কিছুদিন আগে তার লোকজন আমার সমর্থক এক ভ্যানচালককেও মারধর করেন।
‘সবচেয়ে দুঃখজনক হলো, তারা আমার কিশোর ভাগনেকেও রেহাই দিল না। পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর তাকে তুলে নিয়ে মালঞ্চীর মাঠে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছে। সে এখন বাড়িতে চিকিৎসাধীন। আর পরীক্ষা দিতে পারবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বাড়িতে অবরুদ্ধ। কেউই বের হতে পারছি না। ভাগনেকে যে হাসপাতালে নেব বা থানায় গিয়ে অভিযোগ করব সে সুযোগ নেই। পুলিশকে ফোনে বিষয়টা জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’
ওই কিশোরের বাবা আব্দুল মাজেদ শেখ বলেন, ‘কয়দিন আগে শাহীন চৌধুরীর লোকজন এসে আমার দোকান বন্ধ করে দেন ও ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। এই টাকা না পেয়েই তারা আমার ছেলেকে মারধর করেছেন।’
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাগরকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমার কোনো কর্মী-সমর্থক যেন কারও কোনো ক্ষতি না করে সে বিষয়ে আমি সচেতন আছি।’
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী জানান, এখনও কেউ তার কাছে কোনো অভিযোগ জানায়নি। মামলা হলে আইনি ব্যবস্থা নেবেন।