বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাতি হত্যা বন্ধে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ হাইকোর্টের

  •    
  • ২২ নভেম্বর, ২০২১ ১৬:৩৪

হাতি হত্যারোধে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়কে পদক্ষেপ নিতে বলেছে হাইকোর্ট। এ আদেশের পাশাপাশি রুল জারি করেছে আদালত। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুসারে ১২টি এলিফ্যান্ট করিডোরকে সংরক্ষিত করিডোর হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।

হাতি হত্যা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়ে এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে হাইকোর্ট।

সেই সঙ্গে হাতি হত্যারোধে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়কে পদক্ষেপ নিতে বলেছে আদালত।

এ আদেশের পাশাপাশি রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।

বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুসারে ১২টি এলিফ্যান্ট করিডোরকে সংরক্ষিত করিডোর হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত। এবং হাতি হত্যা বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনী ঘোষণা করা হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

সোমবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্য হাতি হত্যা বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে গত ২১ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করা হয়। একইসঙ্গে হাতি হত্যা বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল চাওয়া হয়।

রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওয়াইল্ড লাইফ অ্যাক্টিভিস্ট আদনান আজাদ, ফারজানা ইয়াসমিনসহ তিন ব্যক্তি এই রিট আবেদন করেন।

রিটে পরিবেশ সচিব, বন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, আইন সচিব, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট ২০ জনকে বিবাদী করা হয়।

রিটের পক্ষে আজ আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী খান খালিদ আদনান।

পরে তিনি জানান, সম্প্রতি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার এলাকায় একের পর এক বন্য হাতি হত্যা করা হচ্ছে। এসব ঘটনা বন্ধে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করা হয়েছে।

আদালত আবেদনের শুনানি নিয়ে আদেশসহ রুল জারি করেছেন। রিটে পরিবেশ সচিব, তথ্য সচিব, আইন সচিব, বন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট ২১ জনকে রুলের জবাব দিতে বলেছে আদালত।

আইনজীবী বলেন, বন অধিদপ্তর থেকে জরিপ করে বন্য হাতি চলাচলের জন্য ১২টি করিডোর নির্ধারণ করেছে। কিন্তু ওই সব করিডোর এখনও বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুসারে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হয়নি। যে কারণে বন্য হাতির চলাচলের জায়গায় মানুষজন বাড়ি-ঘর বানাচ্ছে। এতে হাতির চলাচলের বিঘ্ন ঘটায় হাতি সেগুলো ভাঙচুর করছে।

অন্যদিকে মানুষ বন্য হাতিকে বিভিন্নভাবে হত্যা করছে। এভাবেই হাতি ও মানুষের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। অথচ আগেই এসব করিডোর সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হলে এভাবে হাতি হত্যার ঘটনা ঘটতো না।

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বন্য হাতি হত্যার ঘটনায় ৩ জনকে আসামি করে গত ৯ নভেম্বর মামলা করে বন বিভাগ।

পিওআর (প্রসিকিউশন অফেন্স রিপোর্ট) মামলাটি মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন আদালতে করা হয়।

যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তারা হলেন, নেছার উদ্দিন, সেলিম উদ্দিন ও আমান উল্লাহ। তারা সবাই সাতকানিয়ার বাসিন্দা।

এ বিভাগের আরো খবর