ভার্চুয়াল আদালতের কারণে গত বছরের তুলনায় চলতি বছর মামলা নিষ্পত্তি বেশি হলেও বেড়েছে নারীর প্রতি সহিংসতা। মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে উত্থাপন করা মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর কার্যাবলি সম্পর্কিত বার্ষিক প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে।
সচিবালয়ে সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক হয়। এতে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন সরকার প্রধান। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আদালত চালু করার কারণে ২০১৯-২০ অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৯১ হাজার মামলা এ বছর কমে এসেছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৬ লাখ ৬১ হাজার মামলা ছিল, আর ২০২০-২১ এর জুন মাসের শেষে আছে ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩৬২। অর্থাৎ প্রায় ৯১ হাজারের মতো মামলা ডিস্পোজাল হয়ে গেছে।
‘২০১৯-২০ এ ডাকাতি মামলা ছিল ৩৩৬টি, এ বছর ৩২১। রাহাজানি ছিল ৯১৯, এ বছর বেড়ে হয়েছে এক হাজার ৪৮। অস্ত্র আইনের মামলা ছিল ২ হাজার ১৬৬টি, এ বছর ছিল ১ হাজার ৭৪৭টি। খুন ছিল আগের বছর ৩ হাজার ৪৮৫, এবছর ৩ হাজার ৪৫৮।
তিনি বলেন, ‘গত বছর ধর্ষণের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৮৪২, এবছর ছিল ৭ হাজার ২২২। নারী নির্যাতন ছিল ১২ হাজার ৬৬০ এবার ১৪ হাজার ৫৮৭টি।
‘সার্বিক মূল্যায়নে মামলা আগের চেয়ে কমেছে। এর কারণ ২০১৯-২০ এ তো আমাদের ডিজিটাল কোর্ট শুরু হয় নি। গতবছর ডিজিটাল কোর্ট হওয়ার ফলে আইনজীবীরা বাসা থেকে বা অন্য শহরে থাকলেও অনলাইনে মামলাগুলো হ্যান্ডেল করতে পেরেছেন। এতে খুব জলদি ডিস্পোজাল করা গেছে।’
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘২০২০-২১ সালের কার্যাবলী সম্পর্কিত বার্ষিক প্রতিবেদন মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়েছে। মন্ত্রিসভা এটা এনডোর্স (অনুমোদন) করেছে। এখানে কতগুলো উল্লেখযোগ্য বিষয় আমরা পয়েন্ট আউট করছি।
‘২০২০-২১ অর্থবছরে আমাদের জিডিপি গ্রোথ ছিল ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। মাথাপিছু আয় ছিল ২০২৭ ডলার এটা এখন ২৫৫৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে। রাজস্ব আয় ছিল ৩ লাখ ২৮ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা। এটা গত বারের চেয়ে ২৩ দশমিক ৫৭ ভাগ বেশি। রপ্তানি বেড়েছে ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ। মোট দাঁড়িয়েছে ৩৮ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার। সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ ১ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার। আমরা রেমিটেন্স পেয়েছি ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার।’