বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘চাঁদা না পেয়ে হামলা’: গুলিবিদ্ধ শ্রমিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক

  •    
  • ২২ নভেম্বর, ২০২১ ১৫:৫২

বালু ইজারাদারের ম্যানেজার দাউদ শেখ দাবি করে বলেন, ‘তারা (দুর্বৃত্তরা) মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করছিল। সেটা না দেয়ায় আমাদের শ্রমিকদের ওপর গুলি করছে। আমাদের বাল্কহেড ও ড্রেজার নিয়ে গেছে।’

পদ্মা নদীতে বালু কাটতে গিয়ে এক শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও চারজন। শ্রমিকদের অভিযোগ, চাঁদা না দেয়ায় তাদের ওপর হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা।

নদীর পাবনার নাজিরগঞ্জ এলাকায় সোমবার সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন বরিশালের আবু তালেব মোল্লা, চাঁদপুরের মমিন হোসেন, আলী আকবর, ময়মনসিংহের হাবিব শেখ ও ভোলার মোশারফ শেখ। তারা বালু কাটতে তারা রাজবাড়ী থেকে পদ্মার ওই এলাকায় গিয়েছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদত হোসেন।

আহত শ্রমিকদের হাসপাতালে নিয়ে আসা শ্রমিক মাসুদ রানা বলেন, ‘আমরা সকালে বালু কাটতে গেলে হঠাৎ করেই কিছু লোক আমাদের ওপর গুলি করে। আমাদের লোকদের বেধড়ক পেটাতে থাকে। তাদের সেখান থেকে উদ্ধার করে আমরা রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।’

আরেক শ্রমিক আব্দুল হান্নান বলেন, ‘আমরা প্রতিদিনের মতো কাজ করতে গেলে ৫টি ট্রলারে করে কিছু লোক এসে আমাদের বাল্কহেডে গুলি করে। এরপর আমাদের ড্রেজার মেশিনের লোকদের মারধর করে। পরে তারা আমাদের ড্রেজার মেশিন ও বাল্কহেড নিয়ে চলে যায়।’

বালু ইজারাদারের ম্যানেজার দাউদ শেখ দাবি করে বলেন, ‘তারা (দুর্বৃত্তরা) মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করছিল। সেটা না দেয়ায় আমাদের শ্রমিকদের ওপর গুলি করছে। আমাদের বাল্কহেড ও ড্রেজার নিয়ে গেছে।’

আহত শ্রমিকদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাইফুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘আবু তালেবের শরীরের ৫টি গুলি লেগেছে। তার অবস্থা কিছুটা আশঙ্কাজনক। ২৪ ঘণ্টার আগে কিছু বলা যাচ্ছে না। তাকে আমরা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখছি। বাকিরা শঙ্কামুক্ত। তবে সবার শরীরেই বেশ আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কারো পায়ের হাড় ভেঙেছে; কারো বুকের পাঁজর। আমরা তাদের চিকিৎসা দিচ্ছি।’

এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদত হোসেন বলেন, ‘এটি রাজবাড়ীর সীমানার বাইরের ঘটনা। তাই এখানে আমাদের আইনি কোনো পদক্ষেপ নেবার সুযোগ নেই। আমি খবর পেয়ে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে গিয়েছিলাম। যদি পাবনা জেলা পুলিশ থেকে কোনো ধরনের আইনি সহায়াতা চাওয়া হয় তবে আমরা সহায়তা করব।’

এ বিভাগের আরো খবর